রাজা দাস, বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরের বিপন্ন নদী পরিদর্শনে জেলায় ঘুরে গেলেন ওয়াটারম্যান নামে খ্যাত, ম্যাগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী ড: রাজেন্দ্র সিং। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। প্রশাসনের অপেক্ষায় না থেকে সকলকে নদী রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানান ভারতের জলমানব বলে পরিচিত এই পরিবেশবিদ।
[আরও পড়ুন: সফট ল্যান্ডিং নয়, নাসার মঙ্গলযান ‘কিউরিওসিটি’র কেব্ল ল্যান্ডিংই সেরা]
রবিবার সকালেই বালুরঘাট পৌঁছন ড: রাজেন্দ্র সিং। এরপর জেলার আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন ও যমুনা নদী পরিদর্শন করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা। দুপুরে বালুরঘাট শহরের নাট্যতীর্থ মঞ্চে নদী সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। নাব্যতা হারিয়ে বিপন্ন হতে থাকা জেলার বিভিন্ন নদী এবং মানব সভ্যতা-সহ নদী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ওয়াটারম্যান। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।
পরিবেশপ্রেমী সরোজ কুণ্ডু বলেন, ‘জেলার নদীগুলোর পরিস্থিতি ভয়াবহ। দিনের পর দিন জেলার ঐতিহ্যবাহী নদীগুলো তাদের নাব্যতা হারাচ্ছে। সে কারণে আমরা ড: রাজেন্দ্র সিংকে জেলার মৃতপ্রায় নদীগুলোর অবস্থার পুনরুজ্জীবন করতে ও নদী সমস্যার গভীর থেকে সমাধানের রাস্তা খুঁজে দিতে আবেদন করি। তাছাড়াও জল ব্যবস্থাপনায় তাঁর পরামর্শ লাভের জন্য একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করি।’
[আরও পড়ুন: ইউক্যালিপটাসে পরিবেশের ক্ষতি! সব গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হাসিনা প্রশাসনের]
ওয়াটারম্যান ড: রাজেন্দ্র সিং জানান, নদীর সমস্যা জন্য শুধু সরকার এগিয়ে আসলে হবে না, সাধারণ মানুষজনকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর কথায়, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ যদি নদীগুলিতে রাবার ড্যাম দিয়ে থাকে, তাহলে আমাদের কিছু বিকল্প পরিকল্পনা করতে হবে। রাজস্থানে যে গাছ বড় হতে ৩০ বছর সময় লাগে, সেই গাছ পশ্চিমবঙ্গে ৮ বছরেই বড় হয়ে যায়। এখানে প্রকৃতির আর্শীবাদ রয়েছে। সুতরাং জল সম্পদ বাঁচানোই কাজ সকলের। সেকারণে প্রশাসনের উপর ভরসা করে থাকলেই হবে না। সকলকে নদী বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই প্রশাসন এমনিই এগিয়ে আসবে।’