সুমন করাতি, হুগলি: মানুষ মাত্রই কৌতূহলী। আর সেই কৌতূহল থেকেই যাবতীয় যুগান্তকারী আবিষ্কার। আর পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জীবের চিরজিজ্ঞাসা তো একটাই। কীভাবে এই বিশ্বের জন্ম, কীভাবেই বা প্রাণীর বাসযোগ্য হয়ে উঠল ধরিত্রী? সেই জিজ্ঞাসা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন হুগলির (Hooghly) ইঞ্জিনিয়ার সমর চৌধুরী। আর নিজের গবেষণার জোরে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাজের সুযোগ এল তাঁর কাছে। এত বড় সুযোগ পেয়ে যথারীতি অত্যন্ত আনন্দিত সমর। আর তাঁর উপর ভর করেই পৃথিবীর জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে হয়ত অন্য কোনও তত্ত্বের খোঁজ পাব আমরা।
পেশায় তিনি ইঞ্জিনিয়ার (Engineer)। আর নেশা গবেষণা করা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন ভৌগলিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ের উপর নিজের মতো করে গবেষণা করেছেন উত্তরপাড়ার (Uttarpara) সখের বাজারের বাসিন্দা সমর চৌধুরী। তাঁর গবেষণার অন্যতম বিষয় অতিমানবীয় শক্তি বা ‘ইনসেন্ট এলিয়েন’। যেখানে তিনি কাজ করেছেন মেগালিথস ও টেরা ফর্মিং নিয়ে। এই গবেষণার সাফল্যও এসেছে বলে দাবি। কিছুদিন আগে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস তাঁর গবেষণাপত্র দেখে তাঁকে কাজের সুযোগ দিতে চায়। আমেরিকায় (USA) গিয়ে টিম তৈরি করে গবেষণার প্রস্তাব পেয়েছেন বছর চল্লিশের সমর।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় থেকেই ভূতত্ত্ব ও ভৌগলিক বিষয়ে সমরের বিশেষ আগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে চাকরি জীবনে কাজের ফাঁকে শুরু করেন গবেষণা। পিরামিড থেকে তাঁর প্রথম আকর্ষণ জন্মায় মেগালিথসের প্রতি। মেগালিথস হল বৃহৎ আকৃতির পাথর যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় না। সেই থেকেই তাঁর গবেষণা শুরু। গুগল আর্থ থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে তিনি প্রথমে থিসিস তৈরি করেন। মাস ছয়েক আগে থেকে তিনি কাজ শুরু করেন গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (Grand Canyon) নিয়ে। সমর চৌধুরীর দাবি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন তৈরি হয়েছে মেগালিথস দিয়ে। সেই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র তিনি জমা দেন জিওলজিক্যাল সার্ভে (Geological Survey) অফ ইউনাইটেড স্টেটসে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেখান থেকে ইমেল পান সমর। আমেরিকা তাদের দেশে এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্য আবেদন জানিয়েছে হুগলির গবেষককে।
সমর চৌধুরী বলছেন, ”মানুষ এখন মঙ্গল গ্রহে টেরা ফর্মিং করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই টেরা ফর্মিং হল কৃত্রিমভাবে সেখানের বায়ুমণ্ডল ও মাটির মধ্যে কিছু পরিবর্তন করা, যার ফলে সেখানে জীবের বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে পারে।” তাঁর কথায়, ”পৃথিবীতেও কয়েক লক্ষ কোটি বছর আগে এই টেরা ফর্মিং হয়েছে যার ফলে পৃথিবীতে জীবের আবির্ভাব ঘটেছে। এবং এই ট্রান্সফর্ম করেছে কোনও অতি মানবীয় শক্তি, যারা এই ইউনিভার্স নয়, অন্য কোথাও থেকে এসেছিল।” এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্যই তাঁর ডাক এসেছে আমেরিকা থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.