সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলে (Mars) প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা আরও উসকে উঠল। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, লালগ্রহে জৈব লবণ (Organic salt) মিলেছে। তা বিশ্লেষণ করতে চান তাঁরা। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই লবণের মধ্যে অনুজীবীদের জীবনযাপনের অনুকূল উপাদান রয়েছে। নাসার পাঠানো মঙ্গলযান কিউরিওসিটি রোভারের তথ্য থেকে এই দাবি তাঁদের।
জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, যেসব গ্রহ আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, অ্যাসিসেটের মতো মৌল ও যৌগে পরিপূর্ণ, সৌর বিকিরণের ফলে তাদের জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়ায় জৈব লবণ তৈরি হয়। মঙ্গলের মাটিতেও সেভাবেই মিলেছে জৈব লবণের স্তর। এই স্তরের মধ্যে বহু প্রাচীন অণুজীবীর (Microbial life) অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের।
নাসার (NASA) মতে, এসব বিশদে জানতে পারলে ভবিষ্যতে মঙ্গলাভিযানের পরিকল্পনায় অনেক সুবিধা হবে। কোনও কোনও প্রাণীর অস্তিত্ব এখানে আরও বেশি করে অক্সালেট এবং অ্যাসিটেট যৌগ তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। এই গবেষণাপত্রের নেতৃত্বে থাকা বিজ্ঞানী জেমস লুইয়ের কথায়, ”যদি মঙ্গলের মাটিতে জৈব লবণের চরিত্র বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, তার মধ্যে কী কী উপাদান আছে, তাহলে মঙ্গলের জমিতে কার্বন চক্র নিয়ে নির্দিষ্ট ধারণা মিলবে। আর তাতেই বোঝা যেতে পারে, সেখানে প্রাণধারণের সুযোগ ছিল কিংবা আছে কি না।”
নাসার পাঠানো কিউরিওসিটি রোভারে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার সাহায্যে মঙ্গলের জৈব পদার্থগুলিকে চিহ্নিত করা যায়। মাস স্পেকট্রোমেট্রি (Mass Spectrometry) এবং থার্মাল এক্সট্র্যাকশনের (Thermal Extraction) যৌথ প্রযুক্তি এটি। লক্ষ্য, শুধু আজকের মঙ্গল নয়, হাজার হাজর বছর আগের মঙ্গলের পরিবেশ কেমন ছিল, তাও জানা যাবে। এবং সেখান থেকেই প্রাণের উৎস সম্পর্কে আন্দাজ মিলবে বলে ধারণা তাঁদের। বিজ্ঞানী লুইসের মতে, কোটি কোটি বছর আগেকার মঙ্গলের জৈব রসায়নের খোঁজ চলছে। তাঁর ধারণা, লাল গ্রহের মাটিতে সিলিকা পাউডার, পারক্লোরেট রয়েছে। এই পারক্লোরেট অক্সিজেন ও ক্লোরিনের যৌগ। আর সেটাই অক্সিজেনের মূল উৎস হতে পারে। তবে সবটাই এখনও পরীক্ষাসাপেক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.