Advertisement
Advertisement

Breaking News

লম্বু গাছ

গাছই ছড়াচ্ছে ক্যানসার! গুজবে নির্বিচারে আফ্রিকান মেহগনিতে কোপ

বৃক্ষনিধনের নেপথ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Many trees cut down in Nadia due to rumour of cancer

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 30, 2019 12:58 pm
  • Updated:August 30, 2019 1:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসার কীভাবে ছড়ায়? চিকিৎসকরা এই রোগের হাজারও কারণ দেখাতে পারেন। কিন্তু নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দারা বলছেন অন্য কথা। চিকিৎসা বিজ্ঞানকে মিথ্যে প্রমাণ করে তাঁদের দাবি গাছ থেকেই ছড়াচ্ছে ক্যানসার। যার জেরে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে একের পর এক আফ্রিকান মেহগনি লম্বু গাছ।

[আরও পড়ুন: বাড়ির কাছেই আক্রান্ত বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে]

নদিয়ার তাহেরপুরের একটি নার্সারির মালিক প্রায় চার বছর ধরে লম্বু গাছ লাগিয়েছিলেন। বর্তমানে কমপক্ষে চার হাজারেরও বেশি গাছ ছিল সেখানে। বেশ কয়েকটি গাছের চারা ভাল দামে বিক্রিও করেছেন তিনি। বর্তমানে সেই গাছই হয়ে গিয়েছে স্থানীয়দের আপত্তির কারণ। তাঁদের দাবি, লম্বু গাছ এলাকায় থাকলে নাকি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে ক্যানসার। নার্সারি মালিকের জন্য বিপদের আশঙ্কা নিয়ে বাঁচতে চান না তাঁরা। তাই নিদানস্বরূপ সকলের সুস্থতার জন্য এই ধরনের গাছ কেটে ফেলা ভাল বলেই দাবি এলাকাবাসীর। গাছের মাধ্যমে ক্যানসার ছড়াতে পারে, এ বিষয়টি গুজব ছাড়া যে কিছুই নয়, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন নার্সারি মালিক। গাছ কাটতে একেবারেই রাজি হননি তিনি। কিন্তু এলাকাবাসী কোনও কথা শুনতে রাজি নয়। তাঁদের দাবি, লম্বু গাছ কাটতেই হবে। তাই নিমরাজি হয়েও গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয় ওই নার্সারি মালিককে। চোখের সামনে একের পর এক সাধের গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় মন ভাল নেই গাছপ্রেমীর।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের দাবি, লম্বু আদতে আফ্রিকান মেহগনি গাছ। পূর্ব আফ্রিকায় এই গাছ প্রথম দেখা যায়। কৃষিবন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় লম্বু গাছ। এই গাছের ব্যবহারিক গুরুত্বও যথেষ্ট। কাঠের বাড়ি এবং আসবাবপত্র তৈরির ক্ষেত্রে গাছটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গাছের ছাল থেকে সর্দি, কাশির ওষুধ তৈরি হয়। আবার লম্বু গাছের বীজ থেকে তৈরি তেল ত্বকের সমস্যাতেও খুবই উপকারী। এই গাছ থেকে ক্যানসার ছড়ানোর কথা গুজব ছাড়া যে কিছুই নয় তাও নিশ্চিতভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অনুপস্থিত রাঁধুনি, পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্না করে খাওয়ালেন খোদ শিক্ষকরাই]

পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গাছ যে কত গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি জারি রয়েছে। কিন্তু প্রচার যে কোনও কাজে লাগছে না, তা এই ঘটনাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল। তবে অনেকেই বলছেন নির্বিচারে সবুজ ধ্বংসের নেপথ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থই হয়তো জড়িত। কাঠ বিক্রির চক্রান্তে লম্বু গাছ কাটা হল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ