সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৯০০ ফুট গভীর। বিস্তার প্রায় ১,৪৭,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে। মেক্সিকোর চেটুমাল উপসাগরে হদিশ মিলল বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ‘ব্লু হোল’-এর (Blue hole)। হ্য়াঁ, ‘ব্লু হোল’। বাংলা তর্জমা করলে নীল গহ্বর বলা যেতেই পারে। কারণ মেক্সিকোর (Mexico) ইয়াকটান উপদ্বীপ লাগোয়া উপসাগরে যে গহ্বরের সন্ধান মিলেছে, তার বর্ণ নীলই। আসলে এই ধরনের গহ্বরের গভীরতা, জলভাগের বাকি অংশের তুলনায় বেশি হয়। ফলে সূর্যের আলোএই সমস্ত গহ্বরের তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না।
এই কারণেই গহ্বরগুলি বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এই অংশে জমা জল তাই, জলভাগের বাকি অংশের তুলনায় অনেক বেশি গাঢ়, ঘন নীল লাগে। মেক্সিকোর ‘ব্লু হোল’টির আবিষ্কার অবশ্য ২০২১ সালেই হয়েছিল, তবে সম্প্রতি এর নথিভুক্তকরণ হয়েছে সায়েন্টিফিক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্সে।
ডিসকভারি.কম জানাচ্ছে, ‘ব্লু হোল’-এর অন্দরে রয়েছে সমুদ্রখাতে তৈরি হওয়া প্রাচীন চুনাপাথরের গুহার অংশবিশেষ। সমুদ্রের তলদেশে থাকা গাছের পাতা প্রভৃতি পচে, মৃত ব্যাকটিরিয়ার স্তূপ জমে জমে যার উৎপত্তি। উপর থেকে দেখলে জলাজমি বলেই মনে হয়, তবে ‘ব্লু হোল’-এর নিচে রয়েছে সম্পূর্ণ, অজানা এক রহস্যময় প্রকৃতি।
ইউএস জিওলজিক্যাল সোসাইটির বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার জি স্মিথের বক্তব্য, ‘ব্লু হোল’ নিয়ে মানুষ খুব কম জানে। তার কারণ এই নিয়ে চর্চা খুব কম হয়েছে। এদের অন্য নাম ‘টাম জা’, যার অর্থ ‘গভীর জল’। মেক্সিকোয় যে নীল গহ্বরের হদিশ মিলেছে, সেটি বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম। প্রথমটি হল দক্ষিণ চিন সাগরের ড্রাগন হোল। এর গভীরতা প্রায় ৯৮০ মিটার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.