Advertisement
Advertisement

Breaking News

অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস

কখন জেগে উঠবে আগ্নেয়গিরি? প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে এবার মিলবে তার পূর্বাভাস

নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে হতে চলেছে অসাধ্য সাধন।

New volcano alert system updated for warning of eruption
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 20, 2020 2:58 pm
  • Updated:July 20, 2020 3:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূমিকম্প কোথায়, কখন হবে, তার আগাম সতর্কবার্তা যেমন পাওয়া যায় না, তেমনই অজানা আগ্নেয়গিরির (Volcano) জেগে ওঠার সময়ও। তবে এবার সেই অজানাকে জানার উপায় সামনে এসেছে। এমনই দাবি তুললেন নিউজিল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী। গত সপ্তাহে জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তাঁদের দাবি, নতুন পদ্ধতিতে গবেষণায় অন্তত ১৬ঘণ্টা আগে সতর্ক করা যাবে। তবে কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

আসলে, গত বছরের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি হোয়াইট আইল্যান্ডে (White Island) বেড়াতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২১জন। আগ্নেয়গিরির আশেপাশে পর্যটকরা ঘোরার সময়ে আচমকাই জেগে উঠে লাভা উদগীরণ শুরু হয়েছিল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে। তাতেই মৃত্যু হয় এতজনের। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে সে দেশের বিজ্ঞানীরা শুরু করেন গবেষণা। কারণ, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে ঘুমিয়ে থাকার পর হোয়াইট দ্বীপের আগ্নেয়গিরি যে এমন রূপ ধারণ করবে, তা কারও ভাবনাতেই আসেনি। সেকথা স্বীকার করেই বিজ্ঞানীদের ভাবনা হয়, যদি আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এড়ানো যাবে অনেক বিপদই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন অনেকটাই ‘ম্যান মেড’, স্পষ্ট সাম্প্রতিকতম গবেষণার রিপোর্টে]

এমন নয় যে অগ্ন্যুৎপাতের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার কোনও পদ্ধতিই চালু ছিল না। কিন্তু তা বেশ প্রাচীন এবং সবসময়ে অভ্রান্তভাবে কাজ করত না। অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কাজে নেমে সেই আগের পদ্ধতিকেই আরও উন্নত করে তোলার চেষ্টা করেছেন। শ্যেন ক্রনিন নামে এক বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, ”এই মুহূর্তে যে পদ্ধতিতে কাজ করা হয়, তাতে তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। বিশ্লেষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে কিছুটা সময় লাগে। তাই মানুষজনকে সতর্ক করার কাজও পিছিয়ে যায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রকৃতির কোলে ফিরছে বিরল প্রাণীকুল, ওড়িশা উপকূলে দেখা মিলল বিরল হলুদ কচ্ছপের!]

নতুন পদ্ধতিতে কীভাবে কাজ হবে? নিউজিল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি পরিদর্শক কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা ব্যাপারটাই যদি প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা যায়, তাহলে অনেক দ্রুত কাজ হবে। তাই বর্তমানে ব্যবহৃত যন্ত্রে আরও উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করা হচ্ছে। তবে তারও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে বলে আগে থেকেই স্বীকার করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন পদ্ধতিতে ১৬ ঘণ্টা আগে সতর্কবার্তা দেওয়া যাবে, তবে তা ১০০ শতাংশ নিখুঁত নাও হতে পারে। তবে তাঁদের আশা, এ নিয়ে আরও কাজ করা সম্ভব হলে একদিন ঠিকই নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ