Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওয়ারফিশ

ফের সমুদ্রসৈকতে দেখা মিলল ‘ওয়ারফিশ’-এর, ভয়াবহ সুনামির আতঙ্ক জাপানে

কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

Oarfish appears in Japan, locals fear impending conflict
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 16, 2020 4:27 pm
  • Updated:January 16, 2020 4:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুনামির আতঙ্ক ফিরে এল জাপানে। সৌজন্যে একটি বিরল প্রজাতির মাছ। নাম ওয়ারফিশ। জাপানি ভাষায় একে বল রিউগু বা সুকাই। সম্প্রতি সেই মাছ দেখা গিয়েছে দেশে। জাপানিদের বিশ্বাস ওই মাছ বয়ে আনে ভূমিকম্প ও সুনামির বার্তা। বছর কয়েক আগে যখন ভয়ঙ্কর সুনামি তোলপাড় করেছিল জাপানজুড়ে, তখনও ডাঙায় উঠে এসেছিল এই মাছ।

এই মরশুমে গোটা জাপানে প্রায় ছ’টি ওয়ারফিশ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তোয়ামা এলাকায় ধরা পড়েছে ওয়ারফিশ। ফলে সুনামির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জাপানে। জাপানবাসীর মতে, এই মাছ সমুদ্রের ২০০ থেকে এক হাজার মিটার গভীরে থাকে। এর গোটা দেহ রুপোলি। পাখনা লাল রঙের। জাপানি ভাষায় এর নাম ‘রিউগু নো সুকাই’। এর মানে ‘সমুদ্রের ভগবানের অট্টালিকার দূত’। সমুদ্রের তলদেশ থেকে এই মাছ বয়ে আনে ধ্বংসের বার্তা। এমনই কথিত আছে সূর্যের দেশে। আর এর উপর ভিত্তি করেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জাপানজুড়ে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অরুণাচলের বাঘের ডেরায় চিনা ‘ওয়াটার স্নেক’, খুঁজে পেলেন বাঙালি গবেষক ]

তবে বিজ্ঞানীদের মতে এর পিছনে কোনও সত্যতা নেই। তাঁদের মতে, এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্তত এখনও তেমন কিছু আবিষ্কারও হয়নি। কিন্তু সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই, তাও জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়। কারণ বিজ্ঞানীরা একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না যে, ভূমিকম্প হবে না বা সুনামি আসবে না। তাঁদের মতে, বিশ্বায়নের ফলে অনেক কিছুরই সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে সুনামি অন্যতম। কিন্তু ওয়ারফিশ এর পূর্বাভাস বয়ে আনছেন কিনা, তার কোনও প্রমাণ তাঁদের হাতে নেই।

Advertisement

ওয়ারফিশের গল্পকথা শুরু হয় ২০১১ সালে। সেবার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে ২০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল জাপানে। তার আগে অন্তত এক ডজন ওয়ারফিশ জাপানের বিভিন্ন উপকূলে দেখা গিয়েছিল। তাই জাপানিদের বিশ্বাস, এবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সংকেতই দিচ্ছে ওয়ারফিশ। গত বছরও ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়ারফিস উঠে এসেছিল জাপানে। তার কিছুদিন পরই ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। হয়েছিল সুনামীও। তবে তা ২০১১ সালের ভয়াবহতার কাছে কিছুই নয়।

[ আরও পড়ুন: রেকর্ড ভেঙে চলতি দশকে আরও বাড়বে পৃথিবীর উষ্ণতা, ইঙ্গিত নাসার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ