সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দিনে দুপুরেই যখন নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। যে মহাজাগতিক বিস্ময়ের মুখোমুখি হতে উন্মুখ থাকেন মহাকাশপ্রেমীরা। কিন্তু গ্রহণ, পূর্ণগ্রাস হোক বা খণ্ডগ্রাস, তা প্রাকৃতিক ঘটনা। এবার বিজ্ঞানীরা সৃষ্টি করলেন ‘কৃত্রিম’ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। উদ্দেশ্য ছিল সূর্যের করোনা তথা সূর্যের বাইরের অংশের নিরীক্ষণ। তবে তা পৃথিবী থেকে দেখা যায়নি। দেখা গিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রোবা-৩ মিশনের এক মহাকাশযান থেকে। সেটাই ছিল উদ্দেশ্য।
আসলে সূর্যের বাকি অংশের আলোর ঔজ্জ্বল্য করোনাকে ম্লান করে দেয়। তাই একমাত্র সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণেই তাকে দেখা সম্ভব হয়। পৃথিবীতে মোটামুটি ১৮ মাস অন্তর সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যায়। প্রোবা-৩ মিশনে ‘কৃত্রিম’ পূর্ণগ্রাস গ্রহণ সৃষ্টি করা হয়েছিল। গত ১৬ জুন ওই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। ওই মিশনের অংশ দু’টি মহাকাশযান করোনাগ্রাফ ও অকাল্টার। তারা ১৫০ মিটার দূরত্বে উড়ছিল। আর তার ফলে অকাল্টারের চাকতি সূর্যের চাকতিকে ঢেকে দিতে সক্ষম হয়। করোনাগ্রাফের অপটিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট সেই গ্রহণ প্রত্যক্ষ করেছে।
বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজার্ভেটরিতে বসে সেই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে উত্তেজিত প্রধান পর্যবেক্ষক আন্দ্রেই জুকভ। তিনি জানিয়েছেন, ”ছবিগুলি দেখে আমি একেবারে অভিভূত হয়ে গিয়েছি। বিশেষ করে প্রথম প্রয়াসেই ব্যাপারটা করতে সফল হওয়ায় আমরা আপ্লুত।”
যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে তখন হয় সূর্যগ্রহণ। আর যদি চাঁদ কার্যত সম্পূর্ণ ঢেকে দেয় সূর্যকে সেক্ষেত্রে হয় পূর্ণগ্রাস। সূর্যগ্রহণ সব সময়ই মহাকাশপ্রেমীদের কাছে তুমুল আকর্ষণীয়। কিন্তু পূর্ণগ্রাসের আকর্ষণ অন্যরকম। এই দৃশ্য দেখতে তাই মহাকাশপ্রেমীদের আগ্রহের অন্ত নেই। কিন্তু এবার সূর্যগ্রহণ সৃষ্টি করাই হল করোনার রূপ প্রত্যক্ষ করতে। যা ভবিষ্যতে সূর্যকে বুঝতে আমাদের আরও সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.