BREAKING NEWS

১২ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

সর্পদংশন নিয়ে সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ, কৃষকদের গামবুট-গ্লাভস দিল SHER

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: July 20, 2021 4:34 pm|    Updated: July 20, 2021 4:34 pm

SHER, wildlife conservation organization distributes gumboots and gloves to 100 people in Hooghly to keep them safe from snake bite | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণ ও মানুষের সংঘাত বাড়ছে। তার ফলশ্রুতিতে নিরাপদ বনাঞ্চল কমেছে। সেসব ক্রমশ চলে গিয়েছে মানুষের দখলে। আর বাসস্থান হারিয়ে যেমন বিপন্ন হয়ে উঠেছে বন্যপ্রাণীরা, তেমনই লোকালয়ে তাদের যাতায়াত বেড়েছে। হাতির, সাপ, চিতাবাঘ – এদের হামলায় মানুষের মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে আসছে বেশি। আর এখানেই মূল কাজ বন্যপ্রাণপ্রেমীদের। উভয়ের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পারস্পরিক সহাবস্থানের বাতাবরণ তৈরি করা। সাপের কামড়ে (Snake Bite) মানুষের প্রাণহানি নিয়ে গ্রামবাংলায় এখনও বহু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এখনও সর্পদংশনের পর চিকিৎসা না করিয়ে ওঝার ঝাড়ফুঁকের উপর নির্ভর করেন তাঁরা। এসব সংস্কারমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ চালান বন্যপ্রাণপ্রেমীরা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ব্যঘ্র সংরক্ষণ সংস্থা ‘শের’ অভিনব উদ্যোগ নিল। শুধু মৌখিকভাবে বোঝানো নয়, হুগলিতে বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী ১০০ জন কৃষককে তাঁরা দিলেন গামবুট এবং গ্লাভস, যা জঙ্গল এলাকায় তাঁদের সুরক্ষিত রাখবে।

বর্ষাকালে সাপের উৎপাত গ্রামবাংলার খুবই স্বাভাবিক, পরিচিত ছবি। সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্ষাকালেই সবথেকে বেশি সংখ্যক সর্পদংশনের ঘটনা ঘটে এবং তা কৃষিকাজ করার সময়। বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, সাপের সঙ্গে মানুষ সংঘাতের ৯৫ শতাংশই ঘটে গ্রামীণ এলাকায়। গ্রামবাংলার জমিতে বিভিন্ন নির্বিষ ও বিষধর সাপ বেরতে দেখা যায়। চন্দ্রবোড়া, কেউটে, গোখরো, শাঁখামুটির মতো বিষধর সাপের ছোবলে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা আকছার ঘটে। তার অন্যতম কারণ, মাঠে কাজ করার যথাযথ রক্ষাকবচ থাকে না গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলির। থাকে না যথেষ্ট সচেতনতাও।

[আরও পড়ুন: মহাকাশযাত্রায় এবার জেফ বেজোসের ‘Blue Origin’, যাত্রী কারা, জানেন?]

মূলত ব্যঘ্র সংরক্ষণ সংস্থা হলেও ‘শের’ (SHER) কাজ করে থাকে বন্যপ্রাণ নিয়ে। আর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দাদের জীবনযাপনের প্রতিও বেশ দরদী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে এই সংস্থা। এক দশকের বেশি সময় বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও সাপ উদ্ধারের কাজ করছেন সংস্থার সদস্যরা। সম্প্রতি বিশ্ব সর্প দিবসে হুগলির হরিপাল ব্লকের ১০০ কৃষককে সর্পদংশন প্রতিরোধ করতে একজোড়া করে গামবুট ও একজোড়া গ্লাভস দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই এই গামবুট ও গ্লাভস ব্যবহার করে কীভাবে সর্পদংশনের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচানো যায়, তাও জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: সুমেরুতে বজ্রপাত! বিরল দৃশ্যে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা, ‘ভিলেন’ সেই Global Warming]

সাপে-মানুষের সংঘাত এড়াতে ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য সংরক্ষণে এটি ‘শের’-এর একটি প্রথম ধাপের উদ্যোগ। এভাবে তাঁরা একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করলেন। আশা একটাই, গ্রামীণ সমাজের জনমানসে সাপ ও মানুষের সহাবস্থান সম্বন্ধে সচেতনতা গড়ে উঠবে। পাশাপাশি গ্রামবাংলায় সর্পদংশনের মাত্রা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে