Advertisement
Advertisement
Ganga

গঙ্গায় কমছে জল, নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তরও, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে আশঙ্কা

২০০২-২০২১ সালের মধ্যে ব্যাপক হারে কমেছে গঙ্গার জল।

UN report claims water decreasing in the Ganga | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 5, 2022 1:39 pm
  • Updated:December 5, 2022 1:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গঙ্গায় জলের পরিমাণ কমেছে। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়েছে গত দু’দশকে। নদীপার্শ্বস্থ অববাহিকা অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। রাষ্ট্রসংঘের শাখা সংগঠন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও) তাদের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে এই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে। ‘স্টেট অফ গ্লোবাল ওয়াটার রিসোর্স ২০২১’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ব্যাপক হারে কমেছে গঙ্গানদীর জলের পরিমাণ। কমেছে গঙ্গার অববাহিকা অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণও।

কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে? রিপোর্টে এই পরিস্থিতির জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বলা হয়েছে, হিমবাহের বরফ গলে নদীতে জলের পরিমাণ বাড়াচ্ছে ঠিকই, কিন্তু একটা সময়ের পর তা হ্রাস পেতে শুরু করছে। হিমবাহ গলনের প্রভাব এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে সিন্ধু অববাহিকা এবং গঙ্গানদীর অববাহিকা অঞ্চলগুলিতে। রিপোর্টটিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, হিমবাহের বরফ ক্রমাগত কমতে থাকায় একটা সময়ের পর সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে উত্তরাখণ্ডের মতো এলাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মানি, গুনস অ্যান্ড গানস ফর বিজেপি’, জলপাইগুড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধারে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]

প্রসঙ্গত, মাটিতে কত পরিমাণ জল সঞ্চিত রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে ডব্লুএমও। হিসাবে রাখা হয়েছে মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ, ভূগর্ভস্থ জল, বরফ, গাছপালায় সঞ্চিত জল, নদী ও হ্রদের জলের পরিমাণকেও। ডব্লুএমও-র সেক্রেটরি জেনারেল পেত্তেরি তালাস বলেন, “জলের মাধ্যমেই জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মূলত ঘনঘন খরা, বন্যা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং হিমবাহের অনবরত গলন সবই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই হয়।”

Advertisement

প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বের বৃহৎ অঞ্চলজুড়ে ‘লা নিনা’-র প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে বছরে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ প্রায় ১ মাসের জন্য পর্যাপ্ত জল পায় না অন্যদের মাত্রাতিরিক্ত জলের ব্যবহারের জন্য। ২০৫০ সালের মধ্যে যার ভুক্তভোগী হতে পারেন ৫০০ কোটি মানুষ। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে গবেষকরা।

[আরও পড়ুন: SSKM হাসপাতালে অশান্তি, ‘সামলে দিয়েছি’, জুনিয়র চিকিৎসকদের হেনস্তা নিয়ে মন্তব্য মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ