Advertisement
Advertisement

Breaking News

মঙ্গল

মঙ্গলে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব, দাবি মার্কিন গবেষকের

একাধিক ছবি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন মার্কিন গবেষক।

US scientist William Romoser claims existence of life in Mars
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 21, 2019 9:58 am
  • Updated:November 21, 2019 9:58 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলে প্রাণ ছিল এবং আছে। ফের উঠল এই দাবি।তবে মানব নয়। ছিল পতঙ্গ এবং সরীসৃপ। জোর দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন আমেরিকার ওহিও বিশ্ববিদ‌্যালয়ের গবেষক-অধ‌্যাপক উইলিয়াম রোমোসার।

এক নয়। একাধিক ছবি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন রোমোসার। সেই সব ছবির বেশিরভাগই এসেছে কিউরিওসিটি রোভার থেকে। ‘ফোটোগ্রাফি’-র নানাবিধ নিয়ামক যেমন ‘ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট, স‌্যাচুরেশন’ প্রভৃতির ভিত্তিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে তার। শুধু তাই নয়। ছবিতে প্রতীয়মান ‘সাবজেক্ট’-কে তার চারপাশের পরিবেশ, স্পষ্টতা, আকার, গতিবিধি, অঙ্গপ্রত‌্যঙ্গের সঞ্চালন, দেহাবশেষ প্রভৃতি আরও নানা মাপকাঠিতে গবেষণা করেছেন রোমোসার। আর সে সবের পরই তাঁর ঘোষণা, লালগ্রহে প্রাণ অবশ‌্যই ছিল। আছেও। কিন্তু মানব-রূপে নয়। পতঙ্গ কিংবা সরীসৃপ রূপে।

Advertisement

[ আরও : রাস্তা চওড়া করতে অবাধে বৃক্ষচ্ছেদন ডুয়ার্সে, সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা ]

ঠিক কেমন? রোমোসারের ব‌্যাখ‌্যা, যেমন মৌমাছি। বা আরও স্পষ্ট করে বললে, ‘বাম্বল বি’। বা ‘কারপেন্টর বি’। যেমনটা পৃথিবীতে দেখা যায় আর কি! আর সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে মঙ্গল গ্রহে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সাপের। কিন্তু কীভাবে জোর দিয়ে তা বলছেন রোমোসার? তাঁর ব‌্যাখ‌্যা, ছবিগুলি খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে যে, তাতে ধরা পড়া ‘সাবজেক্ট’-এর দেহে প্রাণ ছিল। কারণ, স্পষ্টভাবে বোঝা গিয়েছে, সেই ‘সাবজেক্ট’-এর দেহে ছিল মাথা, বক্ষ, উদর, ছ’টি পা, ডানা এবং একজোড়া শুঁড়ও। কাজেই এদের ‘পতঙ্গ’ হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি রোমোসারের। তাছাড়াও তাঁর মতে, ‘জীব’দের মঙ্গলের মাটিতে চলাফেরা করা, ছোট ছোট শুঁড় নড়াচড়া করারও দাগ ছবিতে না কি স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে! যা পরীক্ষা করে তিনি এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন।

Advertisement

যদিও ওহিও বিশ্ববিদ‌্যালয়ের এই গবেষকের দাবি, তিনি এখনও পর্যন্ত যা বলেছেন, তা তাঁর দাবি। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তখনই পৌঁছানো যাবে, যখন মঙ্গলের জমির আরও ভাল মানের এবং স্পষ্ট ছবি হাতে আসবে। তবে ছবি দেখে তিনি বুঝেছেন, লাল গ্রহের মাটিতে অতি অবশ‌্যই পতঙ্গ গোত্রীয় কিছু জীবাংশের অস্তিত্ব ছিল। কারণ পতঙ্গ বাদে গ্রহের জমিতে যে ফসিলের ছবি পাওয়া গিয়েছে, তার কোনও অঙ্গপ্রত‌্যঙ্গের সঞ্চালন নেই এবং তুলনায় তা পতঙ্গের থেকেও বেশ বড়। সে কারণেই রোমোসারের অনুমান, ওই ফসিলটি কোনও সাপের হতে পারে। রোমোসারের গবেষণার ফলাফল এন্টোমোলজিক‌্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকার ন‌্যাশনাল মিটিংয়ে প্রদর্শিত হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: দিল্লির দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন, প্রতিবাদে সরব পরিবেশপ্রেমী লিওনার্দো ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ