Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেঘলা আকাশে ঢাকা ইডেনে ফের ‘অরুণোদয়’

বছরের গোড়ায় লাগাতার দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলেন৷ ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি, বুঝতে পারেননি তাঁরাও৷ রোগ চিহ্নিত করতে না পারায় ডান দিকের ওপরের পাটির কয়েকটা দাঁত তুলিয়ে ফেলেন এই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার৷ তাতেও লাভ হয়নি৷

Arun Lal's commentary in CAB super League Final
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 18, 2016 7:47 pm
  • Updated:June 18, 2016 8:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীর সঙ্গ না দিলেও মনের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এই দিনটা আসবেই৷ বিশ্বাস ভঙ্গ হয়নি৷ ‘স্পোর্টস ম্যান স্পিরিট’ হয়তো এটাকেই বলে৷ দিনটা অবশেষে এল৷ ১৮ জুন ২০১৬৷ ফের মাইক্রোফোন হাতে কমেন্ট্রি বক্সে দেখা গেল অরুণ লালকে৷ তাঁর প্রিয় ইডেনে বসেই শুরু করলেন ধারাভাষ্যের দ্বিতীয় ইনিংস৷
বছরের গোড়ায় লাগাতার দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলেন৷ ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি, বুঝতে পারেননি তাঁরাও৷ রোগ চিহ্নিত করতে না পারায় ডান দিকের ওপরের পাটির কয়েকটা দাঁত তুলিয়ে ফেলেন এই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার৷ তাতেও লাভ হয়নি৷ অবশেষে জানুয়ারি মাসে জানতে পারেন মাড়িতে ক্যানসার হয়েছে তাঁর, যা ৩০ লাখে একজনের হয়৷ ১১ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর, কলকাতার চিকিৎসকদের ম্যাজিকে নয়া জীবন ফিরে পান ১৯৮৯-৯০-এর রঞ্জি ট্রফি জয়ী বাংলা দলের এই সদস্য৷
তাই ক্রিকেটের নন্দনকানন তাঁকে বেশ কয়েকমাস মিস করেছে৷ একের পর এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইপিএল-এ বাইশ গজ দাপিয়েছেন দেশ-বিদেশের ক্রিকেটাররা৷ কিন্তু কমেন্ট্রি বক্স থেকে ভেসে আসেনি অরুণ লালের গলা৷ শেষমেশ বিরল ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে উঠেই বেসরকারি চ্যানেলের প্রস্তাবটা একেবারেই ফেলে দিতে পারেননি৷ ঘরোয়া ম্যাচ হলেও প্রথমবার দেশের মাটিতে গোলাপি বলে খেলা বলে কথা৷ তায় আবার নিজের ঘরের মাঠে৷ শরীর দুর্বল হলেও তাই ঐতিহাসিক এই ম্যাচের ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ফের মাইক্রোফোন হাতে৷

6c96c66f594b538533a7a21d8c91fee6f
বাইরের খাবারের ওপর বাধা-নিষেধ এখনও রয়েছে৷ তাই বাড়ি থেকে লিকুইড খাবার বয়ে নিয়েই ইডেনে পৌঁছলেন সকাল সকাল৷ মেঘলা আকাশে ঢাকা ইডেন গার্ডেন্স থেকে ফের ভেসে এল অনেকদিনের চেনা সেই কন্ঠস্বর৷
এর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ছেদ পড়েছিল যুবরাজ সিংয়ের ক্রিকেট জীবনেও৷ চোখের সামনের চেনা জানা পৃথিবীটা এক নিমেষে পাল্টে যাওয়ার যন্ত্রণাটা তাই তাঁর চেনা৷ সেইজন্যেই সফল অস্ত্রোপচারের পর অরুণ লালের কাছে প্রথম ফোনটা আসে তাঁরই৷ তারপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ ক্রিকেট দুনিয়ার প্রাক্তন ও বর্তমানদের শুভেচ্ছাবার্তাকে পাথেয় করে আজ ফের তিনি কমেন্ট্রি বক্সে৷
১৯৮৭ সালে এই বাইশ গজেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন৷ সেই পিচেই প্রথমবার দিন-রাতের চারদিনের ম্যাচ৷ তাও আবার গোলাপি বলে৷ তাই নয়া উদ্যমে নতুন করে ক্রিকেটকে ভালবাসার পালা শুরু হল অরুণ লালের৷ সামনে লম্বা পথ৷ এখনও তাঁর গলা থেকে অনেক কিছু শোনা বাকি রইল ক্রিকেটপ্রেমীদের৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ