ইস্টবেঙ্গল: ২ (লালরিন্ডিকা, কাশিম)
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছিল মরশুমের প্রথম ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের কাছে তাই সোমবারই ছিল কলকাতা লিগের প্রথম লড়াই। আর সে লড়াইয়ে বেশ ভাল ফল নিয়েই উত্তীর্ণ সুভাষ ভৌমিকের ছেলেরা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে সহজ জয় দিয়েই পয়েন্টের খাতা খুলল লাল-হলুদ শিবির।
[ইতিহাসে ভারতীয় ফুটবল, আর্জেন্টিনা ও ইরাককে হারিয়ে নজির মেন ইন ব্লু’র]
রাশিয়া বিশ্বকাপ চলাকালীনই চমক দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টাকে সই করিয়ে প্রতিবেশী ক্লাবকে রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। তারপর থেকেই বিশ্বকাপারকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। তিনি কবে শহরে পা রাখেন, তার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার মধ্যরাতেই কলকাতায় পৌঁছান তিনি। আর এদিন ক্লাবের ঘরের মাঠে নিজের নতুন দলের খেলা দেখলেন ডাগআউটে বসেই। গ্যালারি ভরতি দর্শক, সমর্থকদের ভালবাসা আর নিজের দলের প্রথম জয় দেখে দারুণ উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদের তারকা ডিফেন্ডার। বিশ্বকাপারের সামনে যেন সতীর্থদের ভাল খেলার তাগিদটাও বেড়ে গিয়েছিল।
এদিন শুরু থেকেই বিপক্ষকে চাপে রাখতে সফল ডিকারা। ফলে গোলের মুখ খুলতে বিশেষ সমস্যা হয়নি। প্রথমার্ধেই এল জোড়া গোল। লালরিন্ডিকার পা থেকেই এল প্রথম গোলটি। এরপর চুল্লোভার ক্রস থেকে হেডারে গোল করে জয় নিশ্চিত করে দেন দলের আরেক বিদেশি কাশিম। দ্বিতীয়ার্ধে আমনাকে মাঠে নামিয়ে ফিটনেস পরীক্ষাটাও সেরে ফেলেন লাল-হলুদের টিডি। এদিন আরও একটি বিষয় সন্তুষ্ট করতে পারে ময়দানের ভম্বল দাকে। তা হল লাল-হলুদ রক্ষণ। গত ম্যাচে টালিগঞ্জের কাছে একটা গোল হজম করতে হয়েছিল। এদিন কিন্তু ডিফেন্সে ফাটল ধরাতে পারেননি পুলিশ ফুটবলাররা।
[শচীনের পর প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর কোহলি]
টানা আটবারের চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। লক্ষ্য হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক। তাই প্রত্যেকটা ম্যাচেই জয়কেই পাখির চোখ করছেন সুভাষ ভৌমিক। যে লক্ষ্যের শুরুটা দারুণভাবেই হল। যদিও এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। তবে তারকা ডিফেন্ডার যোগ দিলে দল যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এ নিয়ে আশাবাদী সমর্থকরাও।