Advertisement
Advertisement
Akash Deep

ক্রিকেটীয় মানসিকতাই ছিল না পরিবারের, তবু কীভাবে ভারতীয় দলে? জানালেন আকাশের মা

বাইশ গজের যুদ্ধে আকাশের রাজকীয় অভিষেক।

Akash Deep's mother Laduma Devi thrilled with son's India debut against England। Sangbad Pratidin

স্বপ্নের অভিষেকের পর পরিবারের সঙ্গে আকাশ। ছবি: X হ্যান্ডেল

Published by: Sabyasachi Bagchi
  • Posted:February 24, 2024 12:20 pm
  • Updated:February 24, 2024 12:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক কথায় স্বপ্নের অভিষেক। প্রথমবার টিম ইন্ডিয়ার (Team India) জার্সি গায়ে চাপিয়েই বাজিমাত করেছেন আকাশ দীপ (Akash Deep)। রাঁচি টেস্টে জশপ্রীত বুমরাহকে (Jasprit Bumrah) বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) সঙ্গে দলে ছিলেন মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)। তবুও রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ভরসা রেখেছিলেন এই বঙ্গ পেসারের উপর। অধিনায়ক এবং হেড কোচের বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছেন আকাশ। প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৮৩ রানে ৩ উইকেট। তবে তাঁর ক্রিকেটে পা রাখা একেবারেই সহজ ছিল না। বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে কীভাবে ভারতীয় দলের সদস্য হলেন? সরকারি চাকরিকে উপেক্ষা করে ক্রিকেটার হওয়ার পথ কতটা কঠিন ছিল? সেটাই জানালেন তাঁর মা লাডুমা দেবী।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আকাশের মা বলেন, “লেখাপড়া করলে ভালো মানুষ হওয়া যায়! খেলাধুলা করলে ছেলে খারাপ হয়ে যায়! এতকাল এটাই শুনে এসেছি। তবে আমার ছেলে তো পুরো ব্যাপারটা উলটে দিল!”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধোনির রাঁচির বাইশ গজে উজ্জ্বল বাংলার দীপ, কী বলছেন নেপথ্য নায়করা?]

এর পরেই আকাশের প্রয়াত বাবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তাঁর মা। তিনি ফের বলেন, “আমাদের গ্রামে লেখাপড়ার প্রতি আলাদা নজর দেওয়া হয়। প্রায় সব বাড়িতেই কোনও না কোনও সরকারি চাকুরীজীবী রয়েছে। তাই ওর বাবাও চাইতেন ছেলে সরকারি আধিকারিক হোক। কিন্তু আকাশ ক্রিকেট খেলতে চাইত। তাই ওর বাবাকে না জানিয়ে ক্রিকেট খেলতে পাঠিয়ে দিতাম। কারণ ছেলের প্রতি বিশ্বাস ছিল। আকাশ আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে। আমি গর্বিত।”

Advertisement

আকাশের অভিষেক হওয়ার আগেই ওঁর পরিবার রাঁচিতে চলে এসেছিল। রাহুল দ্রাবিড় তাঁর মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন। ঠিক সেই সময় সাইডলাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন আকাশের মা এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। ক্যাপ হাতে পাওয়ার পরেই পরিবারের কাছে চলে যান আকাশ। মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি। সেই মুহূর্ত সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে ছেলের সাফল্যের দিনেও তাঁর মায়ের মন খারাপ। লাডুমা দেবীর প্রতিক্রিয়া, “এমন একটা মুহূর্ত ওর বাবা ও দাদা দেখতে পেলে খুব আনন্দ পেতাম। আকাশের জীবনের সবচেয়ে ভালো দিন। আমরা ভাগ্যবান, তাই এমন মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারলাম। আমি দুনিয়ার সবচেয়ে গর্বিত মা।”

দেশের প্রতিটি যুবকের মতো আকাশও টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে উঠে আসা আকাশ এবার তাঁর মায়ের সামনে টেস্টও খেলে ফেললেন। এবার শুধু তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পালা।

[আরও পড়ুন: বুমরাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাকে তিন উইকেট উৎসর্গ করলেন আকাশ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ