Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, কার্তিকের আগে কোন কোন ব্যাটসম্যান শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন?

কার্তিকের কীর্তিতে মুগ্ধ দেশ, টুইটারে শুভেচ্ছার বন্যা।

Amitabh Bachchan, Anil Kapoor laud Dinesh Karthik’s marvellous spell
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 19, 2018 6:33 pm
  • Updated:August 9, 2019 5:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজনকে নিয়েই চলছে চর্চা। ডি কে ২১। নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। এভাবেও জেতা যায়! ফিনিশার হিসেবে ম্যাচ জেতানোর নানা কীর্তি রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির কেরিয়ার বুকে। কিন্তু এর আগে কোনও ভারতীয় এভাবে ছক্কা হাঁকিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাতে পারেননি। আর তাই কার্তিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। নিজের অনুপস্থিতিতে যে দাপটের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হল টিম ইন্ডিয়া, তাতে উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলি।

টুইটারে গোটা দলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আলাদা করে ডি কে-র ইনিংসের কথা উল্লেখ করেছেন ক্যাপ্টেন কোহলি। শুধু ভারত অধিনায়কই নন, শচীন তেণ্ডুলকর থেকে জশপ্রীত বুমরাহ, অশ্বিন, যুবরাজ সিং, ভিভিএস লক্ষ্মণরাও রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল দেখে মুগ্ধ-বিস্মিত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শক্ত ভিত তৈরির কাজটা সেরেছিলেন রোহিত শর্মা। আর সেখানে কার্তিকের কীর্তিতে ভ্যানিশ হল বাংলাদেশিদের নাগিন ডান্স। ভারতীয় দলের সেই দুর্দান্ত জয়ের সাক্ষী ছিলেন অমিতাভ বচ্চন-অনিল কাপুররাও। টুইটারে রোহিত-ধাওয়ান-কার্তিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁরাও।

কার্তিকের ৮ বলে অপরাজিত ২৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস মনে করিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি ম্যাচের কথা। যেখানে শেষ বলে ওভার বাউন্ডারি মেরে খেলার ফল পালটে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ জিতিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন তাঁরা। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। চলুন দেখে নেওয়া যাক এর আগে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে এমন রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছিলেন কারা।

[শামির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন পাক মডেল আলিশবা]

জাভেদ মিয়াঁদাদ: অস্ট্রাল-এশিয়া কাপে চেতন শর্মার শেষ ওভারের শেষ বলে দরকার ছিল চার রান। ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন পাক ব্যাটসম্যান মিয়াঁদাদ।

চামারা কাপুগেদারা: ২০১০ সালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার সেই ম্যাচে আশিস নেহরার শেষ বলে দরকার ছিল তিন রান। নেহরা দলকে রক্ষা করতে পারেননি। ওভার বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জিতিয়ে ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিয়েছিলেন চামারা।

ল্যান্স ক্লুজনার: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিপক্ষের ত্রাস ছিলেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার। যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের চেহারা ঘুরিয়ে দিতে পারতেন তিনি। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১১ রান। ডিওন ন্যাসের ওভারের শেষ বলে ছয় মেরে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছিলেন ক্লুজনার।

ব্রেন্ডন টেলর: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। অনেক চেষ্টা করেও টেলরকে আটকাতে পারেননি মোরতাজা। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েই সিরিজ ড্র করেছিলেন তিনি।

রায়ান ম্যাকলারেন: ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নিউজিল্যান্ডের সেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ আজও মনে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৬১ রান দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। শেষ বলে তিন রান বাকি ছিল। ছক্কা হাঁকিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে লজ্জার হোয়াইওয়াশের থেকে দলকে রক্ষা করেন ম্যাকলারেন।

[‘মাথা ঠান্ডা রাখাটা ধোনির কাছে শিখেছি’, ম্যাচ জিতিয়ে বললেন দীনেশ কার্তিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ