Advertisement
Advertisement

Breaking News

আইপিএল

অবশেষে কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেল আইপিএল, স্পনসর পেতে ১৩ দফা নির্দেশিকা বিসিসিআইয়ের

এই জনপ্রিয় টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে মানতে হবে একাধিক শর্ত।

BCCI has invited title sponsorship bid for IPL 2020 today
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 10, 2020 10:26 pm
  • Updated:August 10, 2020 11:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৌখিকভাবে সবই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সোমবার কেন্দ্রের তরফে হাতে এল লিখিত ছাড়পত্র। চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) আইপিএল আয়োজনে আর কোনও বাধা রইল না। সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর পেতে সরকারিভাবে আসরে নামল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)।

এদিন গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে ব্রিজেশ প্যাটেল বলেন, চিনা কোম্পানি VIVO-র টুর্নামেন্ট থেকে বিরতি নেওয়ায় বোর্ড আর্থিক দিক থেকে একেবারেই চাপের মুখে পড়েনি। কারণ ইতিমধ্যেই এই জনপ্রিয় লিগের স্পনসরশিপ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেকেই। ভারতীয় এবং বিদেশি যে কোনও কোম্পানিকে বিড করার জন্য স্বাগত জানানো হচ্ছে। ১৮ আগস্ট এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবে বোর্ড।

Advertisement

ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স, আদানী গ্রুপ আইপিএল ১৩-র মূল স্পনসর হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। তালিকায় উঠে এসেছে কোকা-কোলার নামও। সেখানে সর্বশেষ সংযোজন বাবা রামদেবের পতঞ্জলি। কিন্তু IPL-এর নামের আগে কোন সংস্থার নাম বসবে, তা নির্ভর করবে সেই সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতির উপর। বোর্ড জানিয়েছে, কোম্পানির টার্নওভার ৩০০ কোটি টাকার বেশি হলে তবেই তারা এই নিলামে অংশ নিতে পারবে। বিসিসিআইয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১৩টি পয়েন্টের উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি হল এরকম-

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, নয়া সমীক্ষায় কত নম্বরে ধোনি-রোহিতরা?]

১. আমিরশাহীতে হতে চলা আইপিএলের জন্য বিসিসিআই থার্ড পার্টিকে টাইটেল স্পনসর হওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
২. আগামী ১৮ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সেই কোম্পানির স্পনসরশিপের অধিকার থাকবে। কেবলমাত্র আগ্রহী (EOI) এবং যোগ্যদেরই চুক্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলি জানানো হবে।
৩. ভারতীয় মুদ্রায় সেই কোম্পানির টার্নওভার অর্থাৎ বছরে ৩০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা দেখাতে হবে।
৪. কোনও মার্কেটিং এজেন্সি কিংবা এজেন্ট এই নিলামে অংশ দিতে পারবে না।
৫. আগ্রহীদের এই বিষয়গুলি দেখাতে হবে- কোম্পানির পুরো নাম ও ঠিকানা। তারা কী প্রোডাক্টের ব্যবসা করে, তার বিস্তারিত তথ্য। এবং সর্বোপরি বছরে ৩০০ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করেছে কি না।

৬. সবদিক বিচার করে থার্ড পার্টির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তারপর শর্ত মেনে চুক্তির পথে এগোনো হবে।
৭. একবার নিজেদের EOI জমা দেওয়ার পর আর নতুন করে সমঝোতার পথ খোলা থাকবে না। এক্ষেত্রে অন্যান্য দিক বিবেচনা করে বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে কী করণীয়।
৮. স্পনসরের ক্ষতি হলে, কিংবা কোনও অতিরিক্ত খরচ হলে কিংবা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলে বিসিসিআই তার জন্য দায়ী থাকবে না।
৯. স্বার্থের সংঘাত হলে অথবা কেন্দ্রের আইন ভঙ্গ হলে সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পথেই হাঁটা হবে।
১০. [email protected] ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছের কথা জানাতে হবে। ১৪ আগস্ট বিকেল ৫ টার মধ্যে বিড জমা দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: আগামী বছর স্থগিত হতে পারে আইপিএলের মেগা নিলাম! কারণ ব্যাখ্যা করল BCCI]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ