বাংলা: ৩৩২ ও ৩৭৩
ওড়িশা: ২৫০ ও ৩৯/০
ম্যাচ অমীমাংসীত
আলাপন সাহা: আগেই বেজে গিয়েছিল বিদায় ঘন্টা। সোমবার সকালে ওড়িশার যাবতীয় আশা-আকাঙ্খার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিল প্রকৃতিও। যেখানে মন্দ আবহাওয়ার জন্য স্থগিত হয়ে গেল খেলা। দশ ওভারের পর আর খেলাই হয়নি। ফলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে বাংলা (Bengal cricket team) সেমিফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল। শেষ চারে অরুণ লাল-ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ কর্ণাটক।
[আরও পড়ুন: ‘ভালই ব্যাট করছি’, টেস্টে লাগাতার ব্যর্থতা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন কোহলি]
ম্যাচের শেষদিন ওড়িশা বিনা উইকেট খুঁইয়ে করেছিল ৪০ রান। ব্যাট করছিলেন অনুরাগ সারেঙ্গি (২৪) ও শান্তনু মিশ্র (১৫)। বাংলা যে সেমিফাইনালে খেলছে এই নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা এও ভাবেনি যে, ওড়িশা কোন না কোনও সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। গতকাল বাংলা দিনের শেষে করেছিল ৩৬১/৭। সোমবার সেই স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৩৭৩। যখন খেলা শেষ হয় তখন ওড়িশার দরকার ছিল ৪১৬ রান। দশ ওভার খেলা হওয়ার পর মন্দ আলোর কারণে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করে দেন। পরে সেই খেলা আর শুরু হয়নি। আম্পায়াররা দু’দলের অধিনায়ককে দুপুর ১টা ২৫ মিনিট নাগাদ ডেকে পাঠান। জানতে চান তাঁরা খেলতে আর আগ্রহী কিনা। দু’দলের অধিনায়ক জানিয়ে দেন, আর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয়না। তাই খেলা দুপুর দেড়টা নাগাদ স্থগিত হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: নিজের হাতে গড়েছিলেন মোতেরা স্টেডিয়াম, ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন না তিনিই]
সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হতে চলেছে কর্ণাটক। বাংলা শিবিরে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কর্ণাটককে নিয়ে যাবতীয় অঙ্ক কষা। এদিন রাত আটটার ফ্লাইটে কটক ছাড়ছে অরুণ লাল-বাহিনী। ঠিক হয়েছে দু’দিন ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হবে। তারপর শুরু হবে কর্ণাটক ম্যাচের প্রস্তুতি। ব্যতিক্রম থাকবেন আকাশ দীপ। তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই দু’দিন যেন ট্রেনারের কাছে নিয়মিত ট্রেনিং করেন। আসলে শেষ চারে তাঁকে খেলানোর পরিকল্পনা এখন থেকে শুরু করে দিয়েছে বাংলা শিবির। খেলার শেষে মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) জানিয়ে দিলেন, তাঁরা কর্ণাটককে নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন। “মানছি ভাল দল। বেশ কয়েকজন সেই দলে আছে যারা খেলার রং মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতে পারে। তার মানে এই নয় যে, আমরা তাদের ভয় পাচ্ছি।”