Advertisement
Advertisement
শাকিব

দুঃসময় পিছু ছাড়ছে না শাকিবের, বুলবুলে লন্ডভন্ড তারকার সাধের কাঁকড়া খামার

সম্প্রতি বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে গড়ে তুলেছিলেন কাঁকড়া আর চিংড়ির খামার।

Crab Farm of Shakib Al Hasan effected due to cyclone bulbul
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 11, 2019 8:48 pm
  • Updated:November 11, 2019 8:48 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কথায় বলে, অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়। খানিকটা তেমনই পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শাকিব আল হাসান। ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর ভেবেছিলেন কাঁকড়ার ব্যবসায় মনোনিবেশ করবেন। সেই মতো কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধল বুলবুল। হ্যাঁ, ভয়াবহ সাইক্লোনেই শাকিবের সাধের খামার একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেল।

সময়টা সত্যিই ভাল যাচ্ছে না বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের। বুকির থেকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন রাখায় শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে তাঁকে। আইসিসির নির্দেশে একবছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত তিনি। বাইশ গজে না খেলার হতাশা ঘোচাতে সম্প্রতি শাকিব ফুটবল পায়েই নেমে পড়েছিলেন। ফুটি হ্যাগসের হয়ে ম্যাচও খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে নির্বাসনের সময়টা নিজের ব্যবসার দিকেই বেশি করে নজর দিতে চাইছিলেন। এমনিতেই একাধিক ব্যবসা রয়েছে ক্রিকেটারের। তবে সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে গড়ে তুলেছিলেন কাঁকড়া আর চিংড়ির খামার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পন্থের পরামর্শে রিভিউ নিয়ে ফের লজ্জায় পড়লেন রোহিত, মাঠে উঠল ‘ধোনি-ধোনি’ রব]

Shakib

Advertisement

কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সেই সাধের খামারকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছে। বুড়িগোয়ালিনী পরিষদের সদস্য লক্ষ্মী রানি শীল জানান, শাকিবের ঘেরের বাঁধ মজবুত হওয়ায় তা ভাঙেনি। কিন্তু তলিয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে ঘেরের বেড়াও নষ্ট হয়েছে। পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল গণামধ্যমকে বলেন, “এলাকার একটিও কাঁচাবাড়ি ঠিক নেই। সবই বিধ্বস্ত। তারিদিকে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। প্রত্যেকেই ঘরবাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছে। যে যেটুকু পারছে সেটুকু ঠিক করে নিচ্ছে। আমার ইউনিয়নে চার হাজারেরও বেশি কাঁচাবাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে।” শাকিবের কাঁকড়ার খামার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, “ওঁর কাঁকড়ার খামারের কিছু টিনের বেড়া উলটে গিয়েছে। এছাড়া খামারের টিনের ঘরটিও ভেঙে গিয়েছে।”

শাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের সুপারভাইজার তফিক রহমান জানান, খামারটি এখন বন্ধ রয়েছে। শীতে তিনমাস কাঁকড়া পাওয়া যায় না। যে কারণে বর্তমানে প্রজেক্ট বন্ধ রয়েছে। বছরের ছয় মাস খামারের কার্যক্রম চলে। বাকি ছয় মাস বন্ধ থাকে। এই ছয় মাস খামারের পুকুরগুলো কাঁকড়া চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এখন সেই কাজই চলছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পুকুরগুলো ভেসে গিয়েছে। খামারের টিনের বেড়াগুলোও ভেঙে পড়েছে।

[আরও পড়ুন: বুলবুলের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি বাংলাদেশেও, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ