স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমেই সত্যি কথাটা সোজাসুজি বলে ফেলা যাক। আজ হায়দরাবাদে যদি এডেন মার্করামের সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (Sunrisers Hyderabad) কেকেআর হারাতে না পারে, তা হলে এবারের মতো আইপিএল অভিযানে সমাপ্তি ঘোষণা হয়ে যাবে নাইটদের (Kolkata Knight Riders)। যতই এর পর আরও চারটে ম্যাচ পড়ে থাক টুর্নামেন্টে, সে সব গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কেকেআর হারুক বা জিতুক-কিছুতেই কিছু আর যাবে আসবে না। এই মুহূর্তে ৯ ম্যাচে কেকেআরের জয়ের সংখ্যা মাত্র ৩। পয়েন্ট ৬। পরিস্থিতি যা, তাতে প্রতিটা ম্যাচই নাইটদের কাছে এখন জীবন-মৃত্যুর। একটা ম্যাচে পা হড়কানোর অর্থ, সব শেষ। আসলে প্লে অফ যেতে হলে নিদেনপক্ষে আটটা ম্যাচ জিততেই হবে টিমগুলোকে। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হলে পড়ে থাকা পাঁচ ম্যাচের পাঁচটাতেই জিততে হবে কেকেআরকে।
সানরাইজার্স ম্যাচের আগে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসেছিলেন কেকেআর ফিল্ডিং কোচ রায়ান টেন দুশখাতে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, চলতি মরশুমে কী কী ভুল হল যে এই পরিণতি হল নাইটদের? জিজ্ঞাসা করা হয়, পরবর্তী মরশুমের জন্যও বা কোন কোন শিক্ষা থাকল? জবাবে রায়ান টেন বলে দেন, “আমরা এখনও সম্পূর্ণ হাল ছেড়ে দিইনি। জানি আমাদের কাজটা অসম্ভব কঠিন। কিন্তু পুরো অসম্ভব নয়। যা করার আমাদের টিমের ব্যাটারদের করতে হবে। সব টিমের বোলাররাই এবার মার খাচ্ছে। আমরাও ব্যতিক্রম নই।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমাদের কাছে ম্যাচটা মরণ-বাঁচন। এই টুর্নামেন্টে বেঁচে থাকতে গেলে আমাদের হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া কোনও গতি নেই।”
এটা ঘটনা যে, এবারের আইপিএলে (IPL) চোট-আঘাত প্রবল ভুগিয়েছে কেকেআরকে। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে পুরো টুর্নামেন্ট পায়নি তারা। এর বাইরেও ছুটকো চোট-আঘাত ছিল। যেমন শার্দূল ঠাকুর এখনও বল করার জায়গায় আসেননি। নাইটদের তরফ থেকে বলা হল, তিনি ফিট। উমেশ যাদবও গত কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেননি চোটের কারণে। তিনিও প্রায় সুস্থ। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি জেসন রয়। চোটের কারণে। কিন্তু তাঁর জায়গায় নেমে রহমনুল্লাহ গুরবাজ দারুণ খেলে দেন। নাইটদের তরফ থেকে বলা হল, রয় ফিট। আর ব্যাটিংকেই যদি ভরসা করে এগোতে হয় কেকেআরকে, তা হলে একই সঙ্গে রয় আর গুরবাজকে টিম খেলায় কি না, সেটা দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.