BREAKING NEWS

২৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বুধবার ৭ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

প্রতিভাবান ক্রিকেটার, মেয়ে হওয়ায় খেলতে দিল না বিশ্বভারতী

Published by: Sulaya Singha |    Posted: March 12, 2019 7:42 pm|    Updated: March 12, 2019 7:42 pm

Female cricketer alleges gender bias in Visva Bharati

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তুমি তো মহিলা। তুমি আবার পুরুষদের দলে কী খেলবে?’ এমন মানসিকতা কোনও সংকীর্ণ সমাজের নয়, খোদ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, খোলা আকাশের নিচে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রাণখোলা চিন্তা-ভাবনা, উদার মানসিকতারই বিকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু তাঁর প্রিয় স্থানেই আজ অসম্মানিত এক প্রতিভাবান পড়ুয়া। তাঁর অপরাধ একটা, তিনি মহিলা। প্রতিভা নয়, লিঙ্গকে প্রাধান্য দিয়েই বিনা নোটিসে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হল মেঘা দাস কবিরাজকে। সোমবারের ঘটনায় নিঃসন্দেহে কলঙ্কিত হল শান্তিনিকেতনের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।

[৯ মাস পর ফের রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদে ফিরছেন জিনেদিন জিদান]

জুলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মেঘা। জেলাস্তরের ক্রিকেটার তিনি। অনেক বছর ধরেই ক্রিকেট শিখছেন। বিশ্বভারতীর অন্তর্বিভাগীয় টিমেও খেলেছেন। তাঁকেই মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর স্পোর্টস বোর্ডের বিরুদ্ধে। এত বছর পরেও বিশ্বভারতীতে আলাদা কোনও মহিলা ক্রিকেট দল নেই। তাই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই পুরুষ দলে সুযোগ করে নিয়েছিলেন মেঘা। কিন্তু মাঠে নামার পরও আম্পায়ার তাঁকে বসে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। তারপর আর খেলানোই হয়নি তাঁকে। ফলে দশজনেই খেলে দল। কিন্তু তাঁকে বেছে নেওয়ার পরও কেন এমন দ্বিচারিতা? জানা গিয়েছে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষ নির্দেশেই নাকি ছেলেদের দলে খেলতে পারলেন না তিনি। মেঘাকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন দলের অধিনায়ক দেবাশিস মাঝিও। তিনি জানান, তাঁদের কাছে অগ্রিম কোনও নোটিস ছিল না। আচমকাই ম্যাচের দিন দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় মেঘাকে। অথচ বিশ্বভারতীর ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নিয়মাবলিতে কোথাও উল্লেখ নেই যে পুরুষ দলে মহিলারা খেলতে পারবেন না। মেঘার খেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস বোর্ডও।

[ম্যাচ চলাকালীন গুরুতর চোট, মাঠ থেকেই হাসপাতালে উইলিয়ামসন]

গোটা বিষয় অবগত ছিল অধ্যক্ষ কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়েরও। কিন্তু অভিযোগ, ম্যাচের দুদিন আগে ৮ মার্চ স্পোর্টস বোর্ডের তরফে শিক্ষাভবনের দলের অধিনায়ককে ফোন করে মেঘাকে না খেলানোর ব্যাপারে চাপ দেওয়া হয়। এমনকী মেঘা খেললে দলকে ডিসকোয়ালিফাই করার হুমকিও দেওয়া হয়। অদ্ভুত সমাপতন। নারী দিবসেই এমন নিদান আসে মেঘার বিরুদ্ধে। ফেসবুকে গোটা বিষয়টি তুলে ধরেন মেঘা। জানান, স্পোর্টস বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেও লাভ হয়নি। উলটে মেঘার আচরণের জন্য তাঁকে ক্ষমাও চাইতে বলা হয়। পাশে পাননি বিভাগীয় প্রধান অংশুমান চট্টোপাধ্যায়কেও।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে