সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়োজন শুধু ৬ মাস ভালভাবে অনুশীলনের। তাহলেই আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্টে রান করতে পারবেন। এতটাই আত্মবিশ্বাসী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।
২০০৮ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন সৌরভ। তারপরই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর মনে হয়েছিল, সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল না। ক্রিকেটকে হয়তো আরও কিছু দেওয়ার বাকি ছিল তাঁর। তাই এখন তাঁর মনে হয়, মাস ছয়েক কঠোর অনুশীলন করতে পারলে ফের পাঁচদিনের ক্রিকেটের বাইশ গজে নেমে পড়তে পারবেন। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি বলেন, “আরও দুটো ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারলে আরও অনেকগুলো রান করতে পারতাম। আর নাগপুরে অবসর না নিলে পরের দুটো টেস্ট সিরিজ থেকেও অনেক রান আসত ঝুলিতে। এখনও বলতে পারি, আমাকে ভালভাবে অনুশীলনের জন্য ছ’মাস দেওয়া হোক। তিনটে রনজি ম্যাচ খেলি। তাহলেই ভারতের হয়ে টেস্টে রান করতে পারব। জানি, খেলার সুযোগ পাব না। কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাসটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না।”
[আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে হেরে লিগের আশা শেষ বার্সেলোনার, ‘আত্মসমীক্ষা’র সময় এসেছে বললেন মেসি]
১১৩টি আন্তর্জাতিক টেস্টে সাত হাজারেরও বেশি রান তাঁর ঝুলিতে। গড় কখনও ৪০-এর নিচে নামেনি। শুধু ওপেনার হিসেবেই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও টেস্টে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন সৌরভ। বিদেশের মাটিতে একের পর এক সিরিজ জিতে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলেন। তাই অবসরের এত বছর পরও এমন মন্তব্য ক্রিকেটপ্রেমীদের অবিশ্বাস্য বলে মনে হয় না।
ওয়ানডে-তেও তাঁর সাফল্য ঈর্ষণীয়। ১১ হাজারেরও বেশি রানের মালিক তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁকে একদিনের সিরিজ থেকে বাদ দেওয়ায় বেশ অবাকই হয়েছিলেন সৌরভ। দলে জায়গা না হওয়ায় নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাননি। বারবার ‘ক্রিকেট রাজনীতি’র শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সেসব দিনের কথা বলে পড়লে আজও গলা ভারী হয়ে আসে দাদার। তাই এখনও সৌরভের মনে হয়, তাঁর মধ্যে ক্রিকেটটা রয়ে গিয়েছে। যে আজও সুযোগ পেলে বাইশ গজে ঝড় তোলার ক্ষমতা রাখে।
[আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন প্রবাসী বাঙালি শিল্পপতি, ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনতে আগ্রহী]
উল্লেখ্য, দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন সৌরভ। স্ত্রী ডোনা, মেয়ে সানা, মা-সহ পরিবারের বাকিরাও গৃহবন্দি।