Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাউন্সারে ভেঙেছিল খুলি, ৬ দশক পরে নরি কন্ট্রাক্টরের মাথা থেকে বের করা হল ধাতব পাত

অস্ত্রোপচারের পরে এখন ভাল আছেন নরি কন্ট্রাক্টর।

Metal plate finally removed from former Indian Cricketer Nari Contractor’s head | Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:April 7, 2022 7:43 pm
  • Updated:April 7, 2022 7:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৬২ সালের সেই অভিশপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) সফরে ক্যারিবিয়ান পেসার গ্রিফিতের (Charlie Griffith) বাউন্সারে খুলি ভেঙেছিল ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নরি কন্ট্রাক্টরের। তাঁর মাথায় বসানো হয়েছিল ধাতব পাত। ১৯৬২ সালের পরে কেটে গিয়েছে ৬০ বছর। নরি কন্ট্রাক্টরের খুলি থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ধাতব পাত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নরি কন্ট্রাক্টরের (Nari Contractor) ছেলে এই খবর জানিয়েছেন। মুম্বইয়ের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর বাবা এখন ভালই আছেন বলে জানিয়েছেন কন্ট্রাক্টর-পুত্র। আরও কয়েকদিন হাসাপাতালে থাকবেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক কন্ট্রাক্টর। 

কন্ট্রাক্টরের বয়স এখন ৮৮। ভারতের হয়ে ৩১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৩৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গ্রিফিতের বলে ভয়ংকর সেই আঘাতের পরে তাঁর কেরিয়ার প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পরে অবশ্য কন্ট্রাক্টর ফিরে আসেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তার। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাসেলের মতো নাচতে চান কিং খান, প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কামিন্সকে]

গ্রিফিতের বাউন্সার তাঁর মাথায় আছড়ে পড়ার পরে একাধিক অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তামিলনাড়ুর হাসপাতালে তাঁর মাথায় ধাতব পাত বসানো হয়েছিল। আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। সেই অস্ত্রোপচার করেছিলেন ডক্টর চণ্ডী।  

Advertisement

গ্রিফিতের সেই বল খেলার আগে নরি কন্ট্রাক্টরের ক্যাচ পড়ে শর্ট লেগে। সেই বলে আউট হয়ে গেলে গ্রিফিতের বলে মারাত্মক চোট লাগত না কন্ট্রাক্টরের। ওই বলটার আগে কন্ট্রাক্টরের পার্টনার নন স্ট্রাইক এন্ডে দাঁড়িয়ে সুর্তি চিৎকার করে বলছিলেন, গ্রিফিত চাকিং করছে। কন্ট্রাক্টরের তাঁকে বলেছিলেন, আম্পায়ারকে যেন জানানো হয় এই ব্যাপারে। গ্রিফিত যখন সেই বলটা করছিলেন, তখন ড্রেসিং রুমের জানালা কেউ খুলেছিলেন। তাতে ফোকাস নড়ে যায় কন্ট্র্যাক্টরের। গ্রিফিতের বলটা ঠিক মতো খেলতে পারেননি। যদিও সেই বল খেলা নিয়ে বিভিন্ন রকম মতামত পাওয়া যায়। 

বলের আঘাত লাগার পরে ছ’ দিন সঞ্জাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন কন্ট্রাক্টর। পাঁচজন রক্ত দিয়েছিলেন তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য। এঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অধিনায়ক ফ্র্যাঙ্ক ওরেল, চাঁদু বোরাদে, বাপু নাদকার্নি, পলি উমরিগর এবং সাংবাদিক কেএ প্রভু। কন্ট্রাক্টরেরকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন গ্রিফিতের স্ত্রী। তাঁকে নরি কন্ট্র্যাক্টর বলেছিলেন, ”গ্রিফিতের কোনও দোষ নেই.. পুরোটাই আমার দোষ।” 

[আরও পড়ুন: আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল আইপিএল নিয়ে করা ধোনির বিজ্ঞাপন, কিন্তু কেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ