সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এজবাস্টন টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শাসন করেছে মহম্মদ সিরাজ এবং আকাশ দীপের ভারতীয় পেস জুটি। সিরাজ নিয়েছেন ছ’টা উইকেট। আকাশ নিয়েছেন চারটে। অর্থাৎ, ভারতের দুই পেসার সম্মিলিত ভাবে দশ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের। এবং নিজের পেস বোলিং পার্টনারকে নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত মহম্মদ সিরাজ। বাংল পেসারের বোলিং দেখে অতীব তৃপ্ত তিনি।
বাংলার আকাশকে দেখলে টগবগে ঘোড়ার মতো মনে হয় সিরাজের। যে কি না সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে বসে রয়েছে। “আকাশ যেন ঠিক এক টগবগে ঘোড়া। ও অপেক্ষা করছিল সুযোগের। আর যখন সুযোগ এল, তখন আকাশ দেখিয়ে দিল কতটা খিদে ওর মধ্যে জমা হয়ে ছিল। সত্যি বলছি, আকাশের সঙ্গে বোলিং করতে আমার দারুণ লেগেছে” বিসিসিআই টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন সিরাজ।
পাশাপাশি এটাও ঘটনা, সিরাজ নিজেও অসামান্য বোলিং করেছেন। ভারতীয় পেসারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বুমরাহ থাকলে তিনি এক রকম। বুমরাহ না খেললে তিনি আর এক রকম। তখন তাঁর প্রকৃত রুদ্রমূর্তি দেখা যায়। যা ভুল নয়। বিদেশের মাটিতে বুমরাহ খেললে সিরাজের বোলিং গড় থাকে ৩২ মতো। আর বুমরাহ না খেললে সেটা হয়ে দাঁড়ায় ২৩! তা হলে বুমরাহ না থাকার যে চ্যালেঞ্জ, সেটা কি বাড়তি তাতিয়ে দেয়? শুনে হাসেন সিরাজ। বলেন, “আসলে দায়িত্ব নিতে আমি ভালোবাসি। এজবাস্টনে আমি কয়েকটা বিষয় খেয়াল করছিলাম। দেখছিলাম, যাতে আমার ওভার থেকে যেন বেশি রান না বেরোয়। প্লাস, ব্যাটারকে যতটা সম্ভব চাপে রাখতে পারি, নিজের বোলিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে।”
আকাশ দীপও বলে যান, সিরাজের সঙ্গে নতুন বলে বোলিং তিনি উপভোগ করেছেন। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ৪-৮৮, টেস্টে এ পর্যন্ত বাংলা পেসারেরও সেরা বোলিং। “নতুন বলে আমি দু’টো উইকেট পেলাম। উল্টোদিক থেকে মিয়াও (সিরাজকে যে নামা ডাকা হয়) বড় ভূমিকা নিল।” এজবাস্টনের পাটা পিচেও যে বোলিং করেছেন আকাশ, তা প্রশংসা আদায় করে নিচ্ছে জাতীয় ক্রিকেটমহলের। অথচ হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে খেলানো হয়নি আকাশকে। সেটা ভাবলে খারাপ লাগে? উত্তরে আকাশ বলেছেন, “আমি ও ভাবে ভাবি না। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.