ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরিয়ানি খেতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভালোবাসেন দেশের জার্সিতে ক্রিকেট খেলতে। তাই প্রিয় বিরিয়ানি না খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ ২ মাস। কামব্যাক করেছেন ভারতীয় দলে। মহম্মদ শামির এই যাত্রার কাহিনী শুনিয়েছেন শিবশঙ্কর পাল, বাংলা দলের ফাস্ট বোলিং কোচ। জাতীয় দলে ফিরতে শামির খিদে কতখানি ছিল, সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
২০২৩ সালে দেশের মাঠে বিশ্বকাপের সময় চোট পেয়েছিলেন। তারপর প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়। গত বছর চোট সারিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন শামি। বাংলার হয়ে রনজিতে নেমে দুরন্ত পারফর্ম করেন। তারপর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি খেলেছেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। হাল না ছেড়ে লাগাতার পরিশ্রম করে গিয়েছেন বঙ্গ পেসার। অবশেষে জাতীয় দল কামব্যাক। ইংল্যান্ড সফর এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা পেয়েছেন তারকা পেসার।
কীভাবে জাতীয় দলে ফেরার লড়াই চালিয়েছেন শামি? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিবশঙ্কর বলেন, “ফাস্ট বোলারদের চোট সারতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু শামি জাতীয় দলে ফিরতে এতটাই মরিয়া ছিল যে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও বোলিং করতে চাইত। খেলার পরেও ৩০-৪৫ মিনিট বল করতে চাইছে, এমন ক্রিকেটার খুব কমই হয়। এমনকি ম্যাচের দিনও সকাল ৬টার সময়ে দলের অন্যদের আগেই মাঠে চলে যেত শামি।”
কেবল বোলিং নয়, খাওয়াদাওয়াতেও কঠোর সংযম করেছেন তারকা পেসার। শিবশঙ্কর জানান, “আমি দেখেছি শামি কেবল একবেলা খেত। বিরিয়ানি খেতে এত ভালোবাসে, কিন্তু মাঠে ফেরার পর থেকে গত দুমাসে একবারও ওকে বিরিয়ানি খেতে দেখিনি।” উল্লেখ্য, শামি ঘরোয়া ক্রিকেটে কামব্যাক করার পরে বোর্ডের তরফে নাকি ওজন কমাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই বিশেষ ডায়েট শুরু করে দেন তিনি। লাঞ্চ পুরোপুরি বন্ধ করে শুধুই কলা আর আপেল খেতেন। ডিনারের মেনুতে কেবল রুটি থাকত। মশলাদার খাবারও খেতেন না তারকা পেসার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.