Advertisement
Advertisement
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জয় শাহ বিসিসিআই

বুধবারও হল না সিদ্ধান্ত, বোর্ডে সৌরভ-জয় শাহদের ভবিষ্যৎ জানা যাবে দু’সপ্তাহ পর

সৌরভদের কার্যকালের মেয়াদ ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে BCCI।

SC to hear Sourav Ganguly, Jay Shah's petition after 2 weeks

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 22, 2020 4:07 pm
  • Updated:July 22, 2020 4:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)  এবং সচিব জয় শাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা বুধবারও কাটল না। দুই শীর্ষকর্তার ‘কুলিং অফ‘ আটকাতে লকডাউনের অনেক আগে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল বিসিসিআই (BCCI)। গত ২১ এপ্রিল বোর্ডের তরফে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়, করোনা পরিস্থিতি এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সৌরভদের যেন এখনই ‘কুলিং অফে’ না পাঠানো হয়। বরং, সৌরভের মতো যোগ্য ব্যক্তির হাতে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে সেটা ভালই হবে। তাই সৌরভের টিমের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ পর্যন্ত করে দেওয়া হোক। বহুদিনের অপেক্ষার পর বুধবার মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সৌরভদের আবেদন গ্রহণ করলেও দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছে।

BCCI

Advertisement

লোধা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থা বা বিসিসিআইয়ে টানা ছ’বছর কোনও পদে থাকলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডে যেতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী জুনে শেষ হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহর (Jay Shah) মেয়াদ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বোর্ড সুপ্রিমো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকাল শেষ হচ্ছে। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব পদে জয় শাহ আসেন ২০১৩ সালে। বিসিসিআইয়ে আসার আগে পর্যন্ত তিনি সেই অ্যাসোসিয়েশনেই ছিলেন। সৌরভও সিএবিতে প্রথমে সচিব, পরে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে প্রায় ৫ বছর কাটিয়েছেন। গত বছর বোর্ড নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জোরাল হচ্ছে সম্ভাবনা, আইপিএলের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলিরা]

সৌরভ বা শাহরা জানতেন, লোধা কমিশনের আইন মানতে হলে বেশিদিন চেয়ারে থাকা যাবে না। তাই ডিসেম্বরে বোর্ডের এজিএমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেভাবেই হোক আগামী বছর ছয়েক এই কমিটিকেই দায়িত্বে রাখতে হবে। কারণ, এত কম সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে কোনও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাছাড়া তাঁদের কার্যকালের বেশিরভাগ সময়টা করোনা মহামারীর আবহেই কেটে গেল। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁরা দায়িত্ব ছেড়েও দেন তাতেও বোর্ড অথৈ জলে পড়বে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তে শীর্ষ আদালতে ‘কুলিং অফ’ তোলার আবেদন জানানো হয়। এপ্রিলে আবেদন করা হলেও এতদিন মামলাটি শোনারই সময় হয়নি সুপ্রিম কোর্টের। আশা ছিল বুধবার সৌরভদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সৌরভদের আরজি শুনতে তো রাজি হল, কিন্তু সেটা ওই সপ্তাহ দু’য়েক পরে অর্থাৎ আগামী ২ সপ্তাহও বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এবং বিসিসিআই সচিবের কার্যকালের মেয়াদ নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় থাকছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ