Advertisement
Advertisement

T20 World Cup: ওয়ার্নারদের বিশ্বজয়, টি টোয়েন্টির অধরা মুকুট অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার

নিউজিল্যান্ডের স্বপ্ন ভাঙল মরুশহরে।

T20 World Cup: Australia beats New Zealand in the Final | Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:November 14, 2021 10:54 pm
  • Updated:November 14, 2021 11:58 pm

নিউজিল্যান্ড: ১৭২-৪ (উইলিয়ামসন ৮৫, গাপ্তিল ২৮)
অস্ট্রেলিয়া: ১৭৩-২ (ওয়ার্নার ৫৩, মার্শ ৭৭*)
অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানডে বিশ্বকাপে দাপট দেখিয়ে পাঁচ-পাঁচবার খেতাব জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) এতদিন অধরাই থেকে গিয়েছিল শক্তিশালী অজিদের। রবিবার সেই ‘অধরা মাধুরী’ খেতাব জিতে নিলেন অ্যারন ফিঞ্চ-ডেভিড ওয়ার্নাররা। এর আগে ২০১০ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। কিন্তু সেবার ইংল্যান্ডের কাছে হার মানতে হয়েছিল। এবার আর কোনও ভুলচুক হয়নি।

এবারের বিশ্বকাপের বল গড়ানোর আগে অস্ট্রেলিয়াকে অনেকেই ফেভারিট ধরেননি। কিন্তু মাঠে নামলেই যে ‘ব্যাগি গ্রিন’রা অন্য অবতারে ধরা দেন। সেটাই দেখা গেল। টুর্নামেন্ট যত এগোল, ততই যেন গিয়ার বদলালো অস্ট্রেলিয়া। যে পাকিস্তান টুর্নামেন্টে ছুটছিল প্রথম থেকেই, তাদের মাটি ধরিয়ে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। আর ফাইনালে প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) মাটি ধরালো। ৮উইকেটে জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। টি টোয়েন্টির বিশ্ব খুঁজে পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৫-র ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালেও কিউয়িদের দাঁড়াতে না দিয়ে কাপ জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। 

Advertisement

 

Advertisement

রবিবার টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ড্যারিল মিচেল শেষপর্যন্ত টিকে থেকে নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ফাইনালে। এদিন অবশ্য তিনি বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১১ রানে তাঁকে ফিরতে হয়। নিউজিল্যান্ডের রান তখন এক উইকেটে ২৮ রান। কেন উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপ্তিল ইনিংস গোছানোর চেষ্টা করেন। গাপ্তিল যে কোনও ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বিপজ্জনক ব্যাটার। গাপ্তিল ও উইলিয়ামসন যখন ব্যাট করছিলেন, তখন গাপ্তিলকেই শ্লথ দেখাচ্ছিল। ইনিংসে গতি আনছিলেন কিউয়ি অধিনায়কই। গাপ্তিল ও উইলিয়ামসন তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রান জোড়েন। গাপ্তিল আউট হওয়ার পরে উইলিয়ামসন আরও নির্দয় হন। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে নিউজিল্যান্ড যে ১৭২ রান করেছে তার পুরো কৃতিত্বই নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। অজি বোলারদের আক্রমণ করেছেন, ইনিংসে মোমেন্টাম এনেছেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছে সেঞ্চুরি করতে চলেছেন উইলিয়ামসন, ঠিক তখনই স্মিথের হাতে ধরা পড়লেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। যদিও ২১ রানে তাঁর ক্যাচ ফেলেন হ্যাজলউড। জীবন ফিরে পেয়ে উইলিয়ামসন থামলেন ৮৫ রানে। তিনি ও ফিলিপস ৬৮ রান জোড়েন। শেষের দিকে জিমি নিশাম (১৩) ও সেইফার্ট (৮) নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দেন ১৭২ রানে। 

[আরও পড়ুন: অনলাইনে ভারত-নিউজিল্যান্ড ইডেন ম্যাচের টিকিট মিলবে সোমবার থেকেই, জানেন কত দাম?]

ফাইনালে ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চ (৫) শুরুতেই ফিরে যান। এবারের টুর্নামেন্ট ভাল গেল না তাঁর। শুরুতে উইকেট হারালেও অস্ট্রেলিয়াকে দমিয়ে রাখা যায়নি। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ আক্রমণের রাস্তা নেন। ওয়ার্নার ও মার্শ ৯২  রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যেভাবে দুই অজি ব্যাটসম্যান টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে, তাতে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে ফিরতে হলে উইকেট তুলতে হত কিউয়িদের। ট্রেন্ট বোল্ট তুলে নেন বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে (৫৩)। তার পরেও অবশ্য অজিদের থামানো যায়নি। কারণ ক্রিজে তখন ছিলেন জমে যাওয়া মার্শ (৭৭*) ও ম্যাক্সওয়েল (২৮*)। তাঁরাই বাকি কাজটা সারেন।

 

[আরও পড়ুন: অন্তত দু’টো আইসিসি ট্রফি জেতা উচিত ছিল ভারতের! কোচের পদ ছেড়েই আক্ষেপ শাস্ত্রীর]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ