Advertisement
Advertisement
Wriddhiman Saha

বাংলার হয়ে খেলতে চান না ‘অপমানিত’ ঋদ্ধি, সিএবি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তারকার স্ত্রী

কী প্রতিক্রিয়া সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার?

Wicketkeeper Wriddhiman Saha is not interested to play for Bengal | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 18, 2022 11:10 am
  • Updated:May 18, 2022 11:11 am

স্টাফ রিপোর্টার: ঋদ্ধিমান সাহা বনাম সিএবি বিতর্ক মহানাটকীয় মোড় নিল মঙ্গলবার। যখন ‘অপমানিত’ ভারতীয় টেস্ট উইকেটকিপার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে বলে দিলেন যে, তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না! বরং তিনি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চান সিএবির থেকে। বাংলার হয়ে খেলার আর তাঁর কোনও ইচ্ছে নেই!

ঠিক কী হয়েছে?
আসলে সোমবার রনজি ট্রফি (Ranji Trophy) কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের জন্য দল বেছে নিয়েছে বাংলা। যেখানে মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহা- দু’জনকেই রাখা হয়। শামিকে রাখা হয় বোর্ড ছাড়পত্রের শর্তসাপেক্ষে। সিএবি আগাম ঠিক করেছিল যে, ঋদ্ধিমান (Wriddhiman Saha) ও শামি- দু’জনকেই নকআউট পর্বে খেলানোর চেষ্টা করা হবে। কর্তারা এটাও বলেছিলেন যে, দু’জনকেই ফোন করা হবে। কিন্তু শামিকে ফোন করে কথা বলা হলেও ঋদ্ধিমানের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। কথা না বলেই ঋদ্ধিকে টিমে রেখে দেওয়া হয়। যা নিয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া দল নির্বাচনী বৈঠকের রাতে বলে দেন, শামির ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার আছে বলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আর শামি (Md Shami) বাদে কারও সঙ্গেই কথা বলা হয়নি। এটাও সিএবি প্রেসিডেন্ট বলেন যে, রনজি ট্রফির গ্রুপ পর্বের সময় ঋদ্ধিমান বলেছিলেন যে, ব্যক্তিগত কারণে তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। কিন্তু নকআউটে খেলবেন না, সেটা বলেননি। তাই কোয়ার্টার ফাইনালের টিমে রাখা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোহলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ক্রিকেট লিগে খেলতে আমন্ত্রণ, স্তম্ভিত ক্রিকেট বিশ্ব]

Wridhiman

Advertisement

ঋদ্ধিমান যা ভালভাবে নেননি। ঋদ্ধির ঘনিষ্ঠমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মঙ্গলবার দুপুরে সিএবি প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তিনি বলে দেন, ১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলার পর তাঁকে বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে। সিএবি’র তরফ থেকেই সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাই পুরো ব‌্যাপারটা নিয়ে সিএবি কী ভাবছে? এটাও শোনা গেল, ঋদ্ধি জানতে চান, তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংশ্লিষ্ট সেই কর্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ সিএবি করছে কি না? উত্তরে সিএবি প্রেসিডেন্ট নাকি বলে দেন, এ ব্যাপারে তিনি কীভাবে পদক্ষেপ করবেন? এরপরই ঋদ্ধি জানিয়ে দেন তিনি এতটাই অপমানিত যে আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না। তিনি ‘এনওসি’ চান।

আইপিএল (IPL 2022) টিম গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে এই মুহূর্তে ঋদ্ধি চুক্তিবদ্ধ থাকায় তাঁর পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁর স্ত্রী রোমি সাহা বলেন, “ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পরের পর যা ঘটেছে, সিএবি যা আচরণ করেছে, তাতে ও অপমানিত। সেই কারণেই বাংলার হয়ে আর খেলতে চায় না।” সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্লেয়ার আর সংস্থার মধ্যে যে কথাবার্তা হয়, তা কঠোরভাবে দু’পক্ষের মধ্যেই থাকা উচিত। এই সময় আমি কোনও মন্তব্য করব না।”

বাংলা ছেড়ে চলে গেলে ঋদ্ধিমান শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবেন, কিছুই ঠিক হয়নি। উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে এটা ঠিক যে, ঋদ্ধিমান বনাম সিএবি সংঘাত রাতারাতি হয়নি। গত কয়েক মাস ধরে চলছে। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় টিম থেকে ‘ব্রাত্য’ হয়ে যাওয়ার পর ঋদ্ধিমান প্রচারমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, গত বছর নভেম্বর মাসে কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘাড়ের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস দেখে স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন। “দাদি বলেছিল, যত দিন দাদি বোর্ড প্রেসিডেন্ট আছে, আমাকে ভাবতে হবে না। বোর্ড প্রেসিডেন্টের থেকে এমন বার্তা পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। বুঝতে পারলাম না, গত কয়েক মাসের মধ্যে এত দ্রুত সব কিছু কী করে পাল্টে গেল?,” তখন বলেছিলেন ঋদ্ধিমান। যা সিএবি তখন ভালভাবে নেয়নি।

[আরও পড়ুন: পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে সময় কাটাতেন ঐন্দ্রিলা! বিস্ফোরক অভিনেত্রীর পরিচারিকা]

সাংবাদিক সম্মেলন করে সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলে দেন, বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথাবার্তা মিডিয়ায় বলে ঠিক করেননি ঋদ্ধি। কয়েকদিন পর সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস আবার ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন। এবং বঙ্গসন্তানের অভিমানের আগুনে শেষ ঘৃতাহুতি ঘটে সিএবি তাঁকে ফোন না করে রনজি কোয়ার্টারের টিমে রেখে দেওয়ায়।

কী হবে শেষ পর্যন্ত? সিএবি পারবে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে? নাকি ঋদ্ধিমান ছেড়ে চলেই যাবেন নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থেকে? উত্তর সময় দিক। কিন্তু একটা কথা পরিষ্কার। যা হল, বাংলা ক্রিকেটের পক্ষে তা অন্তত সুখের বিজ্ঞাপন হল না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ