Advertisement
Advertisement

Breaking News

আই লিগের প্রথম ম্যাচেই আইজলের কাছে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল

প্রথম ম্যাচে টিমের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে মর্গ্যানের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।

East Bengal-Aizawl match ends in a draw
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 7, 2017 7:58 pm
  • Updated:January 7, 2017 8:03 pm

ইস্টবেঙ্গল- ১ (ইভান বুকানে)

আইজল এফসি- ১ (কামো স্টেফানে)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপক্ষে আইজল এফসি। আহামরি দল নয়। গতবারই অবনমনে চলে গিয়েছিল। কিন্তু ফেডারেশনের দাক্ষিণ্যে চলতি আই লিগে খেলার সুযোগ পায় মিজোরামের দল। কিন্তু সেই টিমের কাছে শনিবার বারাসত স্টেডিয়ামে কোনওক্রমে ড্র করে লজ্জার হাত থেকে বাঁচল লাল হলুদ ব্রিগেড। মর্গ্যানবাহিনী এদিন ম্যাচের শেষ মুহূর্তের গোলে নিশ্চিত হার বাঁচাল। ড্র করেই ২০১৭-র আই লিগ অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল।

Advertisement

এদিন প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজার আগেই গুরবিন্দরের ক্লিয়ারেন্স আইজলের কামোর পায়ে লেগে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। বিরতির আগেই গোল খেয়ে যাওয়ায় রীতিমতো চাপে পড়ে যান গুরবিন্দর, মেহতাবরা। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধ করার কোনও তাগিদ চোখে পড়ছিল না লাল-হলুদ ব্রিগেডের। অবশেষে ৬৭ মিনিটের মাথায় মর্গ্যান এই মরশুমের অন্যতম বাজি ইভান বুকানেকে গুরবিন্দরের পরিবর্তে না নামালে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত। কারণ ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেহতাবের কর্নার থেকে উইলিসের হেড ফের মাথা দিয়ে আইজলের জালে জড়িয়ে এদিন ইস্টবেঙ্গলকে নিশ্চিত হারের হাত থেকে রক্ষা করেন বুকানে। শেষপর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল ১-১। বলাই বাহুল্য, প্রথম ম্যাচে টিমের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে মর্গ্যানের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য। সে তিনিই যতই সাফাই দিন না কেন।

আই লিগের প্রথম ম্যাচ। তার মধ্যে হাতে পুরো টিম। স্বাভাবিকভাবেই বেশ চনমনে হয়েই দল নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন কোচ মর্গ্যান। কিন্তু এদিন মিজোরা যেভাবে মাঝমাঠ এবং বক্সের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের নাকানিচোবানি খাওয়ালেন তাতে আই লিগ জেতার স্বপ্ন কতটা সফল হবে তা বলা যাচ্ছে না। এই ম্যাচে ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার ব্যাপক অভাব চোখে পড়ল। কিন্তু এই টিমের অনেক খেলোয়াড়ই গত মরশুমেও একসঙ্গে খেলেছেন। এমনও বলা যাবে না যে, আইজল অপ্রতিরোধ্য দল। ঘরের মাঠে মিজোরামের টিমের কাছে প্রায় হারতে বসেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই বিদেশি নির্ভর গেমপ্ল্যানেই মশাল নেভার হাত থেকে বাঁচল। ডিফেন্সে বুড়ো আনোয়ার আলি নড়াচড়া করতে পারছেন না। মেহতাব, গুরবিন্দরদের দিয়ে আর চলছে না। গোলে রেহনেশও এদিন আহামরি ছিলেন না। এই বিষয়গুলি কবে বুঝবেন কর্তারা। শুধু বিদেশি নিয়েই মাথাব্যাথা তাঁদের। এর পরের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের শিবাজিয়ান্সের সঙ্গে। সেদিনও এমন পারফরম্যান্স হলে আই লিগ জয় এবারও স্বপ্নই থেকে যাবে লাল-হলুদ শিবিরের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ