Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডুডুর গোলে বারাসতে জ্বলল মশাল, ফের চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ইস্টবেঙ্গল

অ্যারোজের নাছোড় লড়াইকে কুর্নিশ জানাল ভরা স্টেডিয়াম।

East Bengal beat Indian Arrows in I League clash
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 4, 2018 7:37 pm
  • Updated:February 4, 2018 7:48 pm

ইস্টবেঙ্গল- ১ (ডুডু)

ইন্ডিয়ান অ্যারোজ- ০

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যালারি থেকে নাগাড়ে উড়ে আসছে অশ্রাব্য গালিগালাজ। ম্যাচের ৯০ মিনিট অতিক্রান্ত। ইনজুরি টাইমের আর কিছুক্ষণ বাকি। পড়ে চোদ্দ আনার মতো বক্সের মধ্যে পুরনো নায়কের হেডার। আর তাতেই গোল। ইস্টবেঙ্গলের মান বাঁচালেন সেই ডুডু। আর সেই সঙ্গেই ফের উজ্জীবিত লাল-হলুদ শিবির। আগের ম্যাচগুলির হতশ্রী পারফরম্যান্স তখন অতীত। নতুন করে বাঁচার রসদ পেয়ে রবিবারের বারাসত স্টেডিয়াম চাঙ্গা। ইনজুরি টাইমের গোলে অ্যারোজকে ১-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। হেঁট মাথা ফের একবার উঁচু হল কোচ খালিদ জামিলের। ম্যাচের শেষ লগ্নের গোল ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের প্রাপ্তির ভাঁড়ার সেই অর্থে শূন্য। বরং অনেক বেশি সম্মান আদায় করে নিল অ্যারোজের যুব ফুটবলাররা। ছোটদের নাছোড় লড়াইকে কুর্নিশ জানাল ভরা স্টেডিয়াম।

Advertisement

[চাহাল-কুলদীপের স্পিনের ছোবলে কাত দক্ষিণ আফ্রিকা, একপেশে জয় বিরাটদের]

ফিরতি ডার্বিতে হারের পর থেকে গোষ্ঠ পাল সরণির তাঁবুতে অনেক ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে। ছাঁটাই হয়েছেন প্লাজা। এসেছেন পোড়খাওয়া ডুডু। এসেছেন চিরশত্রু শিবিরের ছাঁটাই হওয়া ক্রোমা। কিন্তু তাতেও আশাতীত ফল মিলছিল না। তার মধ্যে ফুটবলার রিক্রুটার অ্যালভিটো ডিকুনহাকে নিয়ে ডামাডোল ক্লাবে। কর্মকর্তাদেরও মুণ্ডপাত করতে ছাড়ছিলেন না সমর্থকরা। শ্মশানযাত্রীর মতো ক্লাব প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন খালিদ। এই কয়েকদিনে যেদিকে যাচ্ছেন সেখানেই শুনতে হচ্ছে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মাথার ঠিক নেই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোচের কোনও টোটকাই কাজে লাগছে না দেখে হতাশ হয়ে যাচ্ছিলেন ফুটবলাররাও। সমর্থকদের তাণ্ডবে পুলিশ পাহারায় প্র্যাকটিস সারতে হচ্ছিল। দরকার ছিল শুধু একটা জয়ের। তাই অ্যারোজ ম্যাচই ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তাতেও প্রায় ফেল করে যাচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির। মাতোসের ছেলেদের হার না মানা জেদ আর গতির কাছে বেশ কয়েকবার আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ ও ডিফেন্সকে। প্রথমার্ধে ডুডুর একটা গোলার মতো হেড অ্যারোজের গোলকিপার প্রভসুখন গিল বাঁচিয়ে দেওয়ার পর প্রমাদ গুনছিল গ্যালারি। এই ম্যাচেও হল না! হাহাকার তখন বারাসতের ভরা স্টেডিয়াম।

[ঘরের মাঠে লজ্জার আত্মসমর্পণ এটিকের, দশ জনের বেঙ্গালুরুর কাছে বিশ্রী হার]

দ্বিতীয়ার্ধেও ডুডুর আরেকটি গোলমুখী বারে লেগে ছিটকে যায়। কপালের দোষে মাঠে তখন হাসছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। আজও কী হবে না, হতাশ হয়ে পড়ছিল ইস্টবেঙ্গলের ডাগআউট। অসাধারণ কিছু সেভ করেছেন অ্যারোজের গোলকিপার। ম্যাচের সেরাও তিনি। কিন্তু সময় যে বয়ে যাচ্ছে। ম্যাচের শেষ লগ্নে ডুডুর হেড যখন গোলে ঢুকছে তখন ঘরমুখী বেশ কিছু সমর্থক। জালে বল জড়াতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল স্টেডিয়াম। মান রেখেছেন ডুডু। সেইসঙ্গে লিগ তালিকায় তিনে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। একে নেরোকা এফসি। এখনও আশা রয়েছে। তবে ম্যাচ বেশি নেই। তাই যা চিন্তার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ