Advertisement
Advertisement

Breaking News

জয়ের আনন্দেও এএফসি-তে ফোকাস বাগানের

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনি নর্ডিরা ভারতসেরা হয়েছেন এখনও ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ তার মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন তকমা ভুলে সামনে তাকাচ্ছে বাগান শিবির৷ এই মনোভাবই হয়তো টানা দু’মরশুম দু’টো বড় ট্রফি জেতালো দলকে৷ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নয় ছেলেদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মন্ত্র পাঠ করাচ্ছেন সঞ্জয় সেন৷ শনিবার যে মাঠে সবুজ মেরুন ঝড় উঠেছিল, মঙ্গলবার গুয়াহাটির সেই ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামেই […]

fed cup winner mohungaban follow up
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 22, 2016 6:35 pm
  • Updated:July 11, 2018 2:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনি নর্ডিরা ভারতসেরা হয়েছেন এখনও ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ তার মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন তকমা ভুলে সামনে তাকাচ্ছে বাগান শিবির৷ এই মনোভাবই হয়তো টানা দু’মরশুম দু’টো বড় ট্রফি জেতালো দলকে৷ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নয় ছেলেদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মন্ত্র পাঠ করাচ্ছেন সঞ্জয় সেন৷ শনিবার যে মাঠে সবুজ মেরুন ঝড় উঠেছিল, মঙ্গলবার গুয়াহাটির সেই ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামেই এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ট্যাম্পাইনের বিরুদ্ধে নামতে হবে যে৷ তাই এখনই বড়সড় সেলিব্রেশন নয়৷
এ তো গেল রবিবারের কথা৷ কিন্তু শনিবারের রাত? ১৪ বার ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গুয়াহাটির ছবিটা কেমন ছিল?
ফ্ল্যাশব্যাক! ২১ মে রাত ৯ টা৷ শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগেই মাঠে চলে আসেন ক্লাবের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস৷ সঙ্গে ছেলে৷ জয়ের কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সহ-সচিব বললেন, “আই লিগ জয়ের পর আমি আর দেবাশিসদা দল গড়তে নেমে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম৷ বাবা না থাকলে সেই বাধা টপকে দল গড়া যেত না৷ কেউ কেউ সেই সময় চেকে সই করতেও চাননি৷ ক্লাবের ফান্ড ছিল না, এই অজুহাতে৷ বলছিলেন, এত খরচ করে দল গড়ার কী আছে! আমাদের পিছনে বাবার সমর্থন ছিল৷ দল ভাল করার ইচ্ছেও ছিল৷ এই জয়ের কৃতিত্ব আমাদের গোটা টিমের প্রাপ্য৷” সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোসের ছেলে অরিঞ্জয় গুয়াহাটিতে এসেছেন এক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া জামা-কাপড় নিয়েই৷ আই লিগ ট্রফিটা যে সেখানেই ঝুলিতে ভরেছিল বাগান৷ এমনকী সঙ্গে ছিল ‘লাকি’ মোবাইল ব্যাক কভার, ঘড়ি, ক্ষয় পেয়ে ছোট হয়ে যাওয়া চটিও৷ জয়ের তাগিদ যেন ড্রেসিংরুম ছাপিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল৷ গত মরশুমে এই ফেডারেশন কাপেই নিয়েছিলেন দায়িত্ব সঞ্জয় সেন৷ হাতে পেয়েছিলেন মাত্র কয়েকদিন৷ চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন৷ ফল পাননি৷ তবু হাল ছাড়েননি৷ এদিন সাফল্য পেয়ে বললেন, “আই লিগ, ফেড কাপ দিয়েছি৷ আমার উপর যে ভরসা করেছিলেন কর্তারা, সমর্থকরা, তা পূরণ করেছি৷ এবার ভাবার সময়৷ কখনও পরিবারকে সময় দিতে পারিনি৷ এবার ওদের প্রাপ্যটা দিতে হবে৷”
ড্রেসিংরুমের ছবিটা যখন এরকম তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন বাগান সমর্থকরা৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের রাগিয়ে দেওয়ার এর চেয়ে ভাল ‘মওকা’ আর কী-ই হতে পারত! গর্বের সঙ্গে লাগাতার চ্যাট যুদ্ধ চালিয়ে গেলেন বাগান ভক্তরা৷ শহরে বাগান ফ্যান ক্লাবগুলোতে চলল সবুজ আবির খেলা৷ এরই ফাঁকে শহরে ফিরলেন সোনি, আজহার ও কাটসুমি৷ দলকে ট্রফি জিতিয়ে হাইতি ফেরার শপথ নিয়েছিলেন সোনি৷ কথা রাখলেন৷ এদিকে, মঙ্গলবারের ম্যাচের জন্য গুয়াহাটি উড়ে যাবেন কেন লুইস, তীর্থঙ্কর ও সুভাষ সিং৷ সিঙ্গাপুরের দলকে হারানোর পরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেলিব্রেশনে মাততে চায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ