Advertisement
Advertisement

Breaking News

রুদ্ধশ্বাস ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফেড কাপের ফাইনালে বাগান

মোহনবাগান: ২ (ডাফি, বলবন্ত)   Advertisement ইস্টবেঙ্গল: ০ Advertisement সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্যটা সত্যিই ভাল বলতে হবে মোহনবাগানের৷ গোটা ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল৷ তুলনামূলক খারাপ পারফর্ম করেও জয় ছিনিয়ে নিলেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা৷ দুর্দান্ত লড়াই দিয়েও আই লিগের পর ফেড কাপেও জয় অধরা থেকে গেল প্লাজাদের৷ হারের বদলা নেওয়া তো […]

Federation Cup: Mohun Bagan beat East Bengal by 2-0
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 14, 2017 3:16 pm
  • Updated:May 14, 2017 3:35 pm

মোহনবাগান: ২ (ডাফি, বলবন্ত)  

ইস্টবেঙ্গল: ০

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্যটা সত্যিই ভাল বলতে হবে মোহনবাগানের৷ গোটা ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল৷ তুলনামূলক খারাপ পারফর্ম করেও জয় ছিনিয়ে নিলেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা৷ দুর্দান্ত লড়াই দিয়েও আই লিগের পর ফেড কাপেও জয় অধরা থেকে গেল প্লাজাদের৷ হারের বদলা নেওয়া তো হলই না৷ সেই সঙ্গে এবারের মতো ফেড কাপ তাঁবুতে তোলার আশাও শেষ হল লাল-হলুদ ব্রিগেডের৷ ওদিকে, আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল বেঙ্গালুরু৷ টানা দ্বিতীয়বার ফেড কাপ ঘরে তোলার পথে বাগানের এখন একমাত্র কাঁটা সুনীল ছেত্রীরা৷

Advertisement

[মাতৃ দিবসে ফের নেটিজেনদের নজর কাড়ল শেহবাগের টুইট]

এদিন আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করেও প্রথম থেকেই বাগান ডিফেন্ডারদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন রফিক, প্লাজারা৷ উইং ধরে বিকাশ জাইরু দারুণভাবে এগোচ্ছিলেন৷ তাঁর করা সেন্টার থেকে দলকে শুরুতেই এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন রফিক৷ কিন্তু পারলেন না৷ প্রথমার্ধে অত্যন্ত সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন প্লাজাও৷ ফর্মে থাকা রবিন সিংকে বসিয়ে কেন রফিককে প্রথম থেকে খেলালেন সহকারী রঞ্জন চৌধুরী, তা ঠিক বোঝা গেল না৷ এদিকে শুরুতে বাগানকে বেশ ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল৷ ফুটবলারদের বডি ল্যাংগুয়েজে কোনও জেদই দেখা যাচ্ছিল না৷ ডার্বি চলছে, না কোনও নিয়মরক্ষার ম্যাচ, বেশ খানিকক্ষণ যেন তা বোঝাই যাচ্ছিল না৷ তবে আধ ঘণ্টা পর থেকে ছবিটা পাল্টাতে শুরু করে৷ আর তারপরই আসে গোল৷ বলবন্তের বাড়ানো বল থেকে দুরন্ত ক্রস সোনি নর্ডির৷ সেখান থেকে দারুণ হেডারে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন ডাফি৷ প্রতিটি ম্যাচেই নিজেকে উজার করে দিচ্ছেন সোনি৷ কখনও গোল করেছেন তো কখনও করিয়েছেন৷ তাই তাঁকে আটকানোই ছিল লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের কাছে বড় পরীক্ষা৷ তবে তিনি যে দুর্দান্ত সেন্টারটি করলেন, তা আটকানো গেল না৷ সমর্থকদের ফেড কাপ জয়ের যে শপথ করেছেন, সেই প্রত্যয়ই তাঁকে ভাল পারফর্ম করার রসদ জোগাচ্ছে৷ দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করলেন বলবন্ত৷ নেপথ্যে কাটসুমি৷ আর সেই সঙ্গে বাগান পৌঁছে গেল ফেড কাপ জয়ের আরও কাছাকাছি৷

[এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী বজরংকে শুভেচ্ছাবার্তা মোদির]

উল্টোদিকে মাঠ ও মাঠের বাইরে সমালোচনায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গলের আরও একবার মুখ পুড়ল৷ অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হল গুরবিন্দরদের৷ ফলে খাতায়-কলমে এগিয়ে থাকা বাগানকে টেক্কা দিতে এবারও ব্যর্থ তাঁরা৷ সমর্থকদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়ে শূন্য হাতেই কটক থেকে শহরে ফিরতে হচ্ছে মেহতাবদের৷ আর তো অজুহাত দেওয়ারও কিছু রইল না৷ যখন এক শিবির রবিবার ফাইনালের লড়াইয়ের দামামা বাজিয়ে দিল, তখন অন্য শিবিরকে গ্রাস করল একরাশ হতাশা ও ব্যর্থতার যন্ত্রণা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ