উরুগুয়ে- ১ (হোসে গিমিনেজ)
মিশর- ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ শুরুর আগেই দুঃসংবাদটা পেয়েছিলেন সমর্থকরা। আশা জাগিয়েও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে প্রথম একাদশে নেই মহম্মদ সালাহ। যাঁকে দেখতে বহুদূর সেই নীল নদের দেশ থেকে ছুঁটে এসেছেন ভক্তরা। কিন্তু চোট বড় বালাই, তাই ইজিপশিয়ান মেসিকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ নামান মিশরের কোচ। তবে পরিবর্ত হিসাবেও তাঁকে নামালেন না কোচ হেক্টর কুপার। মাঠে সালাহ নেই তার মানে খেলাও নেই সমর্থকদের কাছে। অন্যদিকে, কামড় বিতর্ক ভুলে ফের বিশ্বকাপের মঞ্চে উরুগুয়ের লুই সুয়ারেজ। ম্যাচের শেষ লগ্নে মিশরের সমর্থকদের দ্বিতীয় শোকটা দিয়ে গেলেন তাঁরই সতীর্থ গিমিনেজ। একবারে ৯০ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত হেডারে মিশরের এক পয়েন্ট পাওয়ার আশায় জল ঢেলে দিলেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। গ্রুপের অন্যতম হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে মিশরকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ হাসি হাসল উরুগুয়ে।
একজন সুবিদিত আর আরেকজন প্রতিশ্রুতিমান। দুই মহাতারকার দ্বৈরথ দেখার জন্যই রাশিয়ার একাতারিনবার্গ এরিনায় ভিড় করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। ধারে-ভারে উরুগুয়ে ও মিশর সমকক্ষ না হলেও ম্যাচের মূল আকর্ষণ ছিলেন দুজন। লুই সুয়ারেজ ও মহম্মদ সালাহ। কিন্তু বিধি বাম। সালাহকে নামালেন না মিশরের কোচ। ইজিপশিয়ান মেসির ড্রিবল, চোখধাঁধানো ফুটবল থেকে বঞ্চিত হলেন দর্শকরা। অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে নিজের কপাল চাপড়ালেন সুয়ারেজ। সেই অর্থে ম্যাচে মনে রাখার কিছুই ছিল না ৮৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে ৯০ মিনিটে উরুগুয়ের কার্লোস স্যাঞ্চেজের ফ্রি-কিক থেকে হোসে গিমিনেজের নিখুঁত হেড যখন মিশরের গোলে ঢুকল তখন বেঞ্চে বসে মাথা ঝাঁকালেন সালাহও। বুঝে গিয়েছেন বোধহয়, নট আউটে যাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে গেল। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে রাশিয়া ৫ গোলের মালা পরিয়েছে সৌদিকে। সুতরাং মিশরকে পরের পর্বে যেতে গেলে বাকি দুই ম্যাচ জিততেই হবে। আর তিনি মাঠে না নামলে তা প্রায় অসম্ভব দেখাচ্ছে।
অন্যদিকে, দলের অন্যতম ভরসা সুয়ারেজের সুযোগ নষ্টের বহর দেখে চিন্তা বেড়েছে কোচ তাবারেজের। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে প্রবীণ কোচ তিনিই। কাভানি ক্লাব ফুটবলেই বেশি সফল। তাই সুয়ারেজই বাজি। কিন্তু তিনি ঝোলালেন। শেষ মিনিটে গোল নাহলে এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হত লাতিন আমেরিকার দেশকে। মিশরের মতো দেশের সঙ্গে ড্র কোনওভাবেই মেনে নিতেন না সমর্থকরা। যতই সালাহ না খেলুক। তাই জয় দরকার ছিল তাঁদের। জয় এল বটে তবে তা কষ্টার্জিত। এরপর বাকি দুটোর ম্যাচের মধ্যে একটা জিতলেই পরের পর্বে সুয়ারেজরা। তখন কিন্তু ঝলসে উঠতেই হবে বার্সা তারকাকে। নাহলে কপালে দুঃখ আছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.