সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিফা ফ্যান ফেস্ট যদি বেলতলায় দুর্গার আবাহন হয় তবে ওপেনিং সেরিমনি নিঃসন্দেহে ঘট প্রতিস্থাপন। মুহূর্ত পরে ফুটবলভক্তদের আরাধনা শুরু হবে। তার আগে আনুষ্ঠানিক সূচনার পালা। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-এর শুরুর সেই অনুষ্ঠানও তাই নানা চমকে থাকে ঠাসা। ব্যতিক্রম নেই রাশিয়াও। রবি উইলিয়ামসের গান, অপেরা গায়িকা গ্যারিফুলিনার পারফরম্যান্স আর ব্রাজিল তারকা রোনাল্ডোর সহাস্য উপস্থিতিতেই হল বিশ্বকাপের নান্দীমুখ।
[ দেশলাই কাঠিতে বিশ্বকাপের রেপ্লিকা গড়ে তাক লাগালেন কালনার শিল্পী ]
আক্ষরিক অর্থেই আজ মস্কোর সব পথ এসে মিশেছিল লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। সত্তর থেকে আশি হাজার দর্শক বেশ খানিকটা আগে থেকেই স্টেডিয়ামে বসে পড়েছিলেন। তবে সে তো কয়েকজন মাত্র। গোটা বিশ্বে টেলিভিশনের সামনে বসেছিলেন অন্তত তিনশো কোটি ফুটবলপ্রেমী। রবি উইলিয়ামসের গলায় অ্যাঞ্জেল ভেসে আসামাত্রই অজস্র টুইটে ছেয়ে গেল নেটদুনিয়া। কেউ কেউ জানালেন, রবির গানে স্বপ্নের ওপেনিং এই সেরমনির জন্য শৈশব থেকে অপেক্ষা করছিলেন। কেউ আবার বললেন, চার বছর আগে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই মুহূর্তটির জন্য দিন গুনছিলেন। এতদিনে তা বাস্তব হল। রবি- গ্যারিফুলিনার পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার পর আশি হাজার দর্শক তুমুল করতালিতে বোঝালেন কতটা উৎসুক ছিলেন তাঁরা। টেলিভিশনের এপার থেকে কয়েক কোটি ফুটবলপ্রেমীর হাততালি তো শুনতেই পেলেন না শিল্পীরা। আবার পেলেন না কি। তাঁরা তো জানেন বিশ্ববাসী ঠিক কী চান। গ্যালারিতে তখন উড়ছে রাশিয়ার পতাকা। ক্যামেরার সামনে গিয়ে রবি বিশ্ববাসীর জন্য যখন পোজ দিতে দিতে গাইছেন তখন ঠোঁট মেলাচ্ছে হাজার হাজার দর্শকও। ম্যাজিক্যাল মুহূর্ত। এর জন্যই তো অপেক্ষায় থাকেন বিশ্ববাসী। বিশ্বকাপ মানে তো স্রেফ বলের লড়াই নয়। একটা দেশের সংস্কৃতির এর থেকে ভাল বিজ্ঞাপন আর কিছু হয় না। পুতিনও তাই চেয়েছেন। ফুটবলের আগে গানের মূর্ছনায় মোহাবিষ্ট করে রাখতে চাইলেন বিশ্ববাসীকে। তবে বিতর্কও কম কিছু নয়। রবির মধ্যমা প্রদর্শন নিয়ে টুইটারে ঝড় উঠল। এত এত ফুটবলপ্রেমীদের কি অপমান করলেন রবি? তা নিয়েই প্রশ্ন আর পালটা প্রশ্ন।
Wait what… did this guy just throw the middle finger right in front of the World 💀💀💀😂#FifaWorldCup2018 pic.twitter.com/TIBBIQDs5Y
— Tshepo Mantsho👅 (@Munchoes) June 14, 2018
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলতে এসেও সকলকে এই গ্রেটেস্ট শো-এ সাক্ষী থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে গেলেন। এবারই খেলা শুরুর আগে মাত্র আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল। গানের মূর্ছনার রেশ নিয়েই তাই বাঁশি বেজে গেল। শুরু হয়ে গেল গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ।