সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মরশুমে ঘরোয়া লিগের শুরুতেই ধুন্ধুমার। সাদার্ন সমিতি বনাম পিয়ারলেসের ম্যাচ ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসত স্টেডিয়াম। ম্যাচের ফলাফলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই দলের সমর্থকরা। কোচিং কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় অধরাই থেকে গেল মেহতাব হোসেনের।
[আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমবঙ্গে বসে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন কেন?’ তথাগত রায়ের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ময়দানে]
মঙ্গলবার বিকেল ৩টে থেকে শুরু হয় খেলা। গতবার কলকাতা লিগের রানার্স-আপ পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে শুরুটা বেশ ভালই করেছিল সাদার্ন। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। ৪২ ও ৮০ মিনিটে দুটি গোল করে ফয়জল আলি ও বসন্ত সিংহ সাদার্নকে এগিয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ে এগিয়েই ছিল তারা। কিন্তু সাত মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। আর সেই সুযোগেই জোড়া গোল শোধ করে পিয়ারলেস। দুটি গোলই করেন ক্রোমা। একটি গোল হয় পেনাল্টি থেকে। ফলে ২-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। আর এতেই রাগে ফেটে পড়েন সাদার্নের সমর্থকরা। পিয়ারলেসকে সুবিধা করে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এতখানি অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। ম্যাচ ড্র হতেই গ্যালারিতে প্রথমে বচসায় জড়ান দু’দলের সমর্থকরা। যা পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। ক্রোমার নামে জয়ধ্বনি দেওয়ায় মার খেতে হয় এক সমর্থককে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তখনও উত্তেজিত ফুটবল সমর্থকদের রোখা যায়নি। পুলিশের সামনেই চলে মারপিট। অবশেষে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’টি আলাদা গেট দিয়ে সমর্থকদের স্টেডিয়ামের বাইরে বের করে দেওয়া হয়।
তবে রেফারিং নিয়ে যে সন্তুষ্ট নন সাদার্ন কোচ মেহতাব হোসেন, তা তিনি গোপন করেননি। বারাসতে কোচিং জীবনের অভিষেক ম্যাচে জয় পাননি মেহতাব। তাঁর তত্ত্বাবধানে বেহালা এসএসের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে ম্যাচ শেষ করে সাদার্ন সমিতি। সাদার্নের হয়ে গোল করেছিলেন আল আমনা। আর এদিন এগিয়ে গিয়েও পয়েষ্ট নষ্ট হওয়ায় বেশ হতাশ মেহতাব অ্যান্ড কোং।