দীপক পাত্র: আই লিগ বাতিল করার ভাবনাকে সামনে রেখে এগোতে চলেছে ফেডারেশন। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। তবে ঘটনার মোড় যেদিকে যাচ্ছে তাতে লিগ বাতিল করা ছাড়া আপাতত কোনও উপায় দেখছেন না সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা।
লকডাউন বাড়ছেই। অর্থাৎ এপ্রিলে সারা দেশ মোটেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। এমনকী মে-তে হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই আই লিগ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা মানে অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানো।
এমনিতেই ক্লাবগুলো জানিয়ে দিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুক ফেডারেশন। নাহলে তাঁদের পক্ষে আর দল ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই ফেডারেশন ঠিক করেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে। আসলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলছে। ভারতীয় ফুটবল কর্তারা ভেবেছিলেন, লকডাউন নিশ্চয় তারপর উঠে যাবে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু লকডাউন বাড়ছে ধরে নিয়ে ফেডারেশন ঠিক করেছে, আর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা হবে না।
[আরও পড়ুন: ছ’মাস আগেই গোপনে নয়া কোম্পানি গঠন করেছে ইস্টবেঙ্গল, ময়দানে শোরগোল]
আসলে লকডাউন উঠলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা-ও নয়। একটা দলকে প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। তারপর ম্যাচ খেলা আছে। ফ্লাইট, ট্রেন স্বাভাবিক কবে হবে কেউ জানে না। তাই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত বলছিলেন, “আমরা ঠিক করেছি, লকডাউনের দিন যদি ১৪ এপ্রিলের পর ফের বেড়ে যায় তাহলে আমরা শীঘ্রই ভিডিও কনফারেন্সে বসব। তখন ঠিক করা হবে, আদৌ লিগ চালু করা সম্ভব কিনা। তবে যাই হোক না কেন, আমরা খুব শীঘ্রই আই লিগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।” আসলে আই লিগ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ফেডারেশনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেহেতু মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। যতই খেলা বাকি থাকুক না কেন, এই খেলার উপর চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ভর করবে না। তাই আই লিগের প্রথম ডিভিশন নিয়ে ফেডারেশন নিশ্চিন্ত। শুধু নিচের দিকের দলগুলোকে সম্ভবত প্রাইজ মানি সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।
সমস্যা দাঁড়াচ্ছে দ্বিতীয় ডিভিশন নিয়ে। গ্রুপ লিগের খেলাই এখন শেষ হয়নি। তারপর আছে মূলপর্বের খেলা। তাহলে দ্বিতীয় ডিভিশন শেষ করা কীভাবে সম্ভব? ফেডারেশন আপাতত তিনটে দিক ভেবে রেখেছে। এক, লিগের খেলা চালিয়ে যাওয়া। দুই, পরের মরশুমের শুরুতে বাকি খেলা চালু করে শেষ করা। তিন, পুরো লিগ বাতিল ঘোষণা। তবে পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে মনে হয় না লিগ বাতিল করা ছাড়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে ফেডারেশনের। কারণ পরের মরশুমে খেলা শুরু হবে কবে কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তখন লিগ পরের মরশুমে করা হবে বললে চাপ বাড়বে ফেডারেশনের উপর। তাই সবদিক ভেবে এগোতে চাইছেন কর্তারা।