Advertisement
Advertisement
Mohammedan Sporting club

মুশকিল আসান মমতাই, লুলুর লগ্নিতে আইএসএলে খেলার পথে মহমেডান

কী কী শর্তে চুক্তি হবে তা নির্ভর করছে মহমেডান কর্তাদের উপর।

Dubai's Lulu group to invest in Mohammedan Sporting club | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 24, 2023 9:02 am
  • Updated:September 24, 2023 9:25 am

কুণাল ঘোষ: অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিশ্বখ্যাত এক বহুজাতিক সংস্থাকে বিনিয়োগকারী হিসাবে পাচ্ছে কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। স্বভাবতই স্পনসর পাওয়ায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের পর এবার মহমেডানও (Mohamedan Sporting Club) আইএসএল খেলতে পারে। দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক শিল্প সম্মেলনের মধ্যেই বাংলার জন্য বৃহৎ লগ্নির পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত রিটেল সংস্থা ‘লুলু’কে তিন প্রধানের অন্যতম এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের ‘ইনভেস্টর’ হতে রাজি করিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। খুব শীঘ্রই ক্লাবের সঙ্গে ওই সংস্থার চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোম্পানি তৈরি করে কী কী শর্তে চুক্তি হবে তা নির্ভর করছে মহমেডান কর্তাদের উপর।

দুবাইয়ে শিল্প সম্মেলনের ঠিক আগেই শুক্রবার লুলু গোষ্ঠীর (LuLu Group) প্রধান আসরফ আলির সঙ্গে বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। নিউটাউনে বৃহৎ শপিং মল তৈরি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে লগ্নি করা নিয়ে লুলুদের সঙ্গে সদর্থক সিদ্ধান্তের সংবাদ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। যে অংশটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি তা হল, মহমেডান স্পোর্টিং কর্তার সঙ্গে লুলুদের বৈঠক এবং অদূর ভবিষ্যতে ময়দানের এই ক্লাব এবার আইএসএলও (ISL) খেলবে। সূত্রের খবর, বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনার পর লুলু গোষ্ঠীর কর্ণধার আসরফ বাংলায় আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির আগ্রহ প্রকাশ করেন। আর তখনই তাঁকে শতাব্দীপ্রাচীন মহমেডান ক্লাবের ঐতিহ্য এবং ময়দানের তিন প্রধানের অন্যতম সংস্থা হিসাবে ফুটবলে ভূমিকার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। লুলুরাও সঙ্গে সঙ্গে ইনভেস্টর হতে আগ্রহ প্রকাশ করায় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের ভিতরে ডেকে পাঠান সফরে থাকা মহমেডান ক্লাবের সচিব ইশতিয়াক রাজুকে। সঙ্গে ডেকে নেন মোহনবাগান (Mohun Bagan) ক্লাবের দেবাশিস দত্তকেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের গেরুয়া ঝড়, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সান্ত্বনা পুরস্কার কংগ্রেসের]

বাংলা তথা ভারতের ফুটবল (Indian Football) মানেই যে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের অবদান তা বৈঠকে লুলুর প্রধানকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন মমতা (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেই বাংলায় একাধিক ক্ষেত্রে বৃহৎ লগ্নির পাশাপাশি ময়দানের ফুটবলে অন্যতম প্রধান ক্লাবেও বিনিয়োগে রাজি হন আসরফ। পরে এ প্রসঙ্গে দেবাশিস দত্ত বলেন, “শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই বাংলার ফুটবলে লুলু ইনভেস্টর হতে রাজি হল। দুবাইয়ে বসে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ময়দানের জন্য বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটালেন। ফুটবলের বিরাট উপকার একের পর এক করে চলেছেন তিনি। এটা ময়দানের ইতিহাসে অভাবনীয়।” মহমেডানের কর্তা ইশতিয়াক ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই এবার মহমেডানের সামনে আইএসএল খেলার সুযোগ এল। তিন প্রধানের আবার স্বর্ণযুগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ফিরে আসছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে বৈশ্বিক পরিকাঠামোর ডাক, ইঙ্গিতে চিন-পাকিস্তানকেই কাঠগড়ায় তুললেন মোদি]

মোহনবাগান ক্লাব অনেক আগেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কার হাত ধরে আইএসএল খেলছে। পরে শুরু করলেও ইস্টবেঙ্গল বিনিয়োগকারী নিয়ে বারবার নানা জটিলতার মধ্যে পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই মুশকিল আসান হয়। ইনভেস্টর পেয়ে আইএসএল খেলতে শুরু করেছে লাল-হলুদ। বাকি ছিল মহমেডান। এবার মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে এলেন সেই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের পাশে। কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে মহমেডানের তাঁবুর নতুন রূপ ফিরে পেয়েছে। সেই নবনির্মিত অংশ উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মহমেডানকেও আইএসএল খেলতে হবে। দুবাইয়ে সফল শিল্প সম্মেলনের ঠিক আগে বিশ্বখ্যাত লুলু গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে বসে ময়দানে দাঁড়িয়ে মহমেডান সমর্থকদের উৎসাহিত করা নিজের সেই বক্তব্য মনে রেখে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, সেদিন মুখ্যমন্ত্রী শুনেছিলেন, মহমেডানের স্টেডিয়ামের গ্যালারি সংস্কার থেকে শুরু করে টিম গঠন, নানা ক্ষেত্রে ইনভেস্টরদের সঙ্গে কথা বললেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছিল না। আসলে মহমেডানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না। বস্তুত সেই কারণে, স্পেন সফরে গিয়ে বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য একদিকে যেমন লা লিগার সঙ্গে চুক্তি করিয়েছেন, তেমনই মহমেডানের ইনভেস্টর হতে লুলুদের রাজি করালেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফল শিল্প সম্মেলন এবং একের পর এক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত করিয়ে শনিবার সন্ধ্যার বিমানে দুবাই থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরাও ফিরেছি কলকাতা। কিন্তু লা লিগার পাশাপাশি মহমেডানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ইনভেস্টর জোগাড় করে দেওয়া ফুটবলপ্রেমী হিসাবে মনে একটা বাড়তি তৃপ্তি পেলাম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ