দীপক পাত্র: কোয়েস চলে গিয়েছে। তার উপর ক্লাব বন্ধ। সেইজন্য ফুটবল স্কুল থেকে শুরু করে সদস্যদের কার্ড রিন্যুয়াল সব বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাহলে ক্লাব চলবে কী করে? সেইজন্য ঠিক হল, যেভাবেই হোক একটা ফান্ড তৈরি করতে হবে। তাই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ক্লাব টেন্টে ডাকা হয়েছিল ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। সেই সভায় ঠিক হল, একটা ফান্ড তৈরি করা হবে। তার জন্য সকলের সাহায্য প্রয়োজন।
প্রায় ঘন্টা দেড়েক সভার পর ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য দেবব্রত সরকার জানিয়ে দিলেন, সম্পূর্ন ক্লাবের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই তিনি কথা বলতে নারাজ। তবু জানিয়ে দিলেন দেবব্রত, “বুধবার আমরা ক্লাবের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সভা ডেকেছিলাম। অন্য কোনও বিষয় নিয়ে নয়। আসলে আমাদের উপার্জনের পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একদিকে সদস্যরা ক্লাব টেন্টে আসতে পারছেন না। তাই কার্ড রিন্যুয়াল বন্ধ। অন্যদিকে ফুটবল স্কুলও চলছে না। সেইজন্য একটা ফান্ড তৈরি করার পরিকল্পনা হল। এছাড়া অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আর কথা হয়নি।” মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাজারে ছাড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তাই আজ সাংবাদিক বৈঠক ক্লাবের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ মাস্ক তৈরি করা হবে। প্রতিটিতেই থাকবে শতবর্ষের লোগো। আসলে করোনা থেকে সদস্য-সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন কর্তারা। তবে শুধু কলকাতার ভক্তরাই নন, শহরের বাইরে যাঁরা থাকেন তাঁদেরও কুরিয়র করে মাস্ক পাঠিয়ে দেবে ক্লাব। সেক্ষেত্রে ই-মেলে নিজের নাম-ঠিকানা পাঠাতে হবে। তাহলে বাড়িতে বসেই প্রিয় ক্লাবের লোগো দেওয়া মাস্ক পেয়ে যাবেন তাঁরা। তবে কুরিয়র সার্ভিসের খরচটুকু দিতে হবে ক্রেতাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.