সোম রায়: কোচ আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের ঠান্ডা লড়াই তো ছিলই। এবার সেই আঁচ মাঠেও। যার ফলপ্রসূ লাল-হলুদ শিবিরের প্র্যাকটিসে রোজই কিছু না কিছু ঘটনা। ভোম্বলদার (পড়ুন সুভাষ ভৌমিক) প্র্যাকটিস মানেই ঘটনাবহুল। শনিবারও তার অন্যথা হল না। প্র্যাকটিসের মধ্যেই বাক-বিতণ্ডায় জড়ালেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের দুই স্তম্ভ কাটসুমি ও আমনা। তাও অত্যন্ত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের চোখ তা এড়ায়নি। বচসা হাতাহাতিতে বদলাচ্ছে দেখে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন টিডি সুভাষ ভৌমিক। দুজনের কাঁধে হাত রেখে বোঝাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেজাজি কাটসুমি তা পাত্তা না দিয়ে হাত একধাক্কায় সরিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। যেন কে সুভাষ? পাত্তাই দিলেন না নবনিযুক্ত টিডিকে। তখন দূরে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে ‘মজা’ দেখলেন কোচ খালিদ।
[ডামাডোলের মধ্যেই প্র্যাকটিসে হাজির পদত্যাগী বাগান কর্তা সৃঞ্জয়-দেবাশিস]
কিছুদিন আগেই প্র্যাকটিসের মধ্যে মারামারিতে জড়ান ডুডু আর গুরবিন্দর। বহুদিন একসঙ্গে খেলেছেন। কিন্তু সামান্য ট্যাকলের জন্য দুজনেই একে অপরকে এই মারে কি সেই মারে। তারপর ফলাও করে সব সংবাদমাধ্যমে খবর হতেই খেলোয়াড়দের উপর রুষ্ট হয় ম্যানেজমেন্ট। একেই টিডি-কোচের ঠান্ডা লড়াইয়ে রক্ষে নেই, তারপরে এসব আবার দোসর। শনিবার ক্লাবের প্র্যাকটিসে পাস দেওয়া নিয়ে কাটসুমি আর আমনার ঝামেলা। বচসা প্রায় হাতাহাতির রূপ নিচ্ছিল তখনই জরুরি অবতরণ ভোম্বলদার। বোঝাতে গিয়েও অপমানিত হলেন জাপানি মিডফিল্ডারের কাছে। আর আমনা! সিরিয়ার মিডফিল্ডার একটু চাপা স্বভাবের সবাই জানেন। কিন্তু এদিনের অপমান বোধহয় হজম হয়নি। সূত্রের খবর, রেগেমেগে ক্লাব থেকে বেরনোর সময় নিজের গাড়িরা ধাক্কায় এক কোচিং স্টাফের বাইক নাকি ফেলে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কোচিং স্টাফ অবশ্য বিষয়টিকে লঘু করে দেখতে বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুল। কিন্তু আমনার যে মাথা গরম হয়েছে তা স্পষ্ট। ক্লাবকর্তাদের বক্তব্য, প্র্যাকটিস তখন শেষলগ্নে। তাই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে।
[পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার না করেও দলগঠনের কাজে ক্লাবের পাশে সৃঞ্জয়-দেবাশিস]
এ তো গেল ফুটবলারদের ঝামেলা। সুভাষ–খালিদের মতান্তরের বিষয়টি কিন্তু এখনও তাজা। অন্তত আজকের একটি ছবি সেটাই বুঝিয়েছে। প্র্যাকটিসের সময় দূরে গোলকিপারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন খালিদ। তাতে দুজনের মধ্যে দূরত্ব এখনও বর্তমান বলে মনে হয়। সুভাষের অবশ্য বক্তব্য, গোলকিপারদের ভুল-ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করছিলেন কোচ। দূরত্বটা জল্পনা মাত্র। তাও হতে পারে। হলেই ভাল। সুপার কাপ শিয়রে। ম্যাচের মধ্যে দুজনের দূরত্বটা প্রকট হলে ক্লাবের পক্ষে ভাল লক্ষণ হবে না বলছে ময়দানের বিশেষজ্ঞরা।
ফাইল চিত্র