ছবি: ইস্টবেঙ্গল
কেরালা ব্লাস্টার্স: ২ (গিমেনেজ, নোয়া)
ইস্টবেঙ্গল: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একরাশ ব্যর্থতা নিয়ে মরশুম শেষ হল ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলে ছিল নয় নম্বরে। আর সুপার কাপে কেরালার কাছে হেরে বিদায় লাল-হলুদ বাহিনীর। কে বলবে এই দলটা গতবারের ‘চ্যাম্পিয়ন’! নোয়া সাদাউইয়ের ম্যাজিকে ২-০ গোলে জিতল কেরালা ব্লাস্টার্স। তিনি একটি গোল নিজে করলেন, একটি পেনাল্টি আদায় করলেন। নোয়ার নৌকায় ধাক্কা খেয়ে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনালে ডার্বি দেখার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল ফুটবল ভক্তদের।
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে প্রথম থেকে দাপট ছিল কেরালারই। রাকিপদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করতে শুরু করেন নোয়া সাদাউই। গিমেনেজ একাধিক সুযোগ মিস না করলে প্রথমার্ধেই তিন গোলে পিছিয়ে যেত অস্কার ব্রুজোর দল। ফাঁকা গোলে বল জড়াতে পারেননি গিমেনেজ। ৩৩ মিনিটে বিষ্ণুদের বোকা বানিয়ে দুরন্ত ওয়ান-টু খেলে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন নোয়া। এবারও তাঁর ক্রস জালে জড়াতে পারলেন না গিমেনেজ। অবশ্য ডেভিড কাতালার দলের ‘প্রত্যাশিত’ গোলটি এল ৪১ মিনিটে। যার জন্য দায়ী আনোয়ার আলি। নোয়াকে আটকাতে গিয়ে পেনাল্টি দিয়ে বসলেন। গিমেনেজের পেনাল্টি অবশ্য প্রথমে বাঁচিয়ে দেন প্রভসুখন গিল। কিন্তু সেটা করেছিলেন গোললাইনের বাইরে এসে। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নিতে বলেন রেফারি। এবার আর কোনও ভুল করলেন না গিমেনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনও পরিবর্তন হল না। পরিকল্পনাহীন, ছন্নছাড়া। যেন কেউ কাউকে চেনেই না। বল পজিশন থেকে গোলে শট, সবেতেই পিছিয়ে রইল ইস্টবেঙ্গল। অস্কার একাধিক চেঞ্জ করলেন, কিন্তু কেন যে করলেন বোঝা গেল না। দিয়ামান্তোকোসের ভূমিকা কী কেউ সম্ভবত জানেন না। মেসি-সেলিসদের অবস্থাও তথৈবচ। বিষ্ণু নীচে এসে ডিফেন্স করবেন, নাকি আক্রমণে যাবেন, বিভ্রান্ত হয়ে রইলেন। খোঁচা খাওয়া বাঘ নয়, আরও গুটিয়ে গেল লাল-হলুদ বাহিনী। এই দলটা যে গতবারের চ্যাম্পিয়ন, সেটা এদিনের খেলা দেখে মনেই হল না।
৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল কেরালার। গোল তো নয় যেন গোলা। ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়াররা তখনই যেন তাড়া করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সেই সুযোগে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন নোয়া। বারের ভিতর দিকে লেগে তা জালে জড়িয়ে যায়। প্রভসুখন গিল নাগালই পেলেন না। তারপরও কেরালার একাধিক গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। শেষদিকে ফাঁকা গোল মিস করেন তিনি। নাহলে একরাশ লজ্জা নিয়ে দুদিনের ওড়িশা সফর শেষে কলকাতায় ফিরত ইস্টবেঙ্গল। এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু না করলে পরের বছরও ছবিটা কতটা বদলাবে, সেই প্রশ্ন রয়েই গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.