দুলাল দে: ডুরান্ডে জুনিয়র দল খেলাবে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল। সংবাদ প্রতিদিন-এ এই খবর প্রকাশিত হতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে। শতবর্ষে ডুরান্ড জেতার জন্য স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু সোমবার রাতে জুনিয়র দলের কোচ রঞ্জন চৌধুরিকে আচমকা মেলে কোয়েস কতৃর্পক্ষ জানিয়ে দেয়, তাঁর কোচিংয়েই জুনিয়র দল খেলবে ডুরান্ডে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করতে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন জয়বর্ধনের! লড়াইয়ে একাধিক হেভিওয়েট]
এই খবর ছড়িয়ে যেতেই চাঞ্চল্য পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। শতবর্ষে সত্যিই কি ডুরান্ডে জুনিয়র দল খেলাবে ইস্টবেঙ্গল? যেখানে গ্যালারি থেকে ক্লাবের বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরির জন্য সব সময় সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের প্রতিযোগিতার সময় তাহলে কেন সাহায্যর জন্য হাত বাড়াবে না ইস্টবেঙ্গল? ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দল গঠনের পরিকল্পনার কথা পৌঁছে যায় ফোর্ট উইলিয়ামে ডুরান্ড কমিটির কাছেও। সঙ্গে সঙ্গে ফেডারেশনকে চিঠি পাঠিয়ে ডুরান্ড কমিটির পক্ষে নোডাল অফিসার কর্নেল সঞ্জীব গাজমেইর বলেন, “ডুরান্ড কাপ ফেডারেশন অনুমোদিত প্রতিযোগিতা। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারও সবরকমভাবে সাহায্য করছে। সেখানে আমরা জানতে পারছি, ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব ১৯ দল ডুরান্ডে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। যা ডুরান্ডের ঐতিহ্য এবং ইতাহাসের সঙ্গে মানানসই নয়।এআইএফএফকে তাই অনুরোধ করা হচ্ছে, ডুরান্ডে সিনিয়র দল খেলানোর জন্য পরামর্শ দিতে।”
ডুরান্ড কমিটির চিঠি পাওয়ার পরেও ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কর্তারা এর মধ্যে ঢুকেত চাইছেন না। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের বক্তব্য হল, “ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল কোন দল বা কাদের খেলাবে, এটা সম্পূর্ণভাবেই টেকনিক্যাল ব্যাপার। আর এর সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র ক্লাব। ফেডারেশন কোনও ক্লাবের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতে পারে না।”
এদিকে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সেনাবাহিনীর প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও ফুটবল দলের উপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রন নেই। যা রয়েছে একমাত্র কোয়েসের হাতে। কিন্তু ঘটনা হল, ডুরান্ডে খেলবে সিদ্ধান্ত নিলেও, ডুরান্ডের কোনও চুক্তিপত্রে এখনও পর্যন্ত সই করেনি কোয়েস কর্তৃপক্ষ। তাই সিনিয়র দল খেলাতে হবে বলে বাধ্য করতে পারছে না ডুরান্ড কমিটি। কিন্তু কোয়েসের বক্তব্য হল, একই সময়ের মধ্যে চলবে কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড। তারপরেই শুরু হবে সুপার কাপ। তাই কোচ আলেজান্দ্রো প্রথম দলকে কিছুতেই খেলাতে চাইছেন না ডুরান্ডে। এর মধ্যেই বুধবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই সোজা ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিসে চলে আসবেন আলেজান্দ্রো। আর রঞ্জন চৌধুরিকে বলা হয়েছে, বিকেলে জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠে ডুরান্ডের প্রস্তুতি নিতে। কোয়েসের পক্ষে বক্তব্য হল, যেভাবে সিনিয়র দলের কিছু ফুটবলার এবং জুনিয়র দল মিলিয়ে গত মরশুমে দার্জিলিং গোল্ডকাপে খেলা হয়েছিল, ডুরান্ডেও সেভাবেই দল করবে ইস্টবেঙ্গল। তবে রেজিস্ট্রেশন বেশি করেই করে রাখা হচ্ছে, যেখানে বেশ কিছু সিনিয়র দলের ফুটবলার থাকবে। একমাত্র ডুরান্ডে মোহনবাগানের মুখোমুখি হলে অথবা ফাইনালে পৌঁছে প্রথম দলের ফুটবলারদের নামানো হবে। নাহলে অনূর্ধ্ব ১৯ দলটাই খেলবে।