দুলাল দে: লাজংয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলে জয়। কিন্তু ফরোয়ার্ড লাইন ব্যর্থ। আর তাই ফের বিদেশি ছাঁটাইয়ের পথে ইস্টবেঙ্গল। তেমনই সম্ভাবনা। সব ঠিকঠাক থাকলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে পাকা হতে চলেছেন প্রথম আইএসএল-এ এটিকে-র তারকা স্ট্রাইকার। ফিকরু নিজেও মালয়েশিয়া থেকে ফোনে স্বীকার করে নিলেন সে কথা।
ইস্টবেঙ্গলে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকারের সন্ধান যে চলছে, তা নতুন নয়। কাকে নেওয়া হবে তা নিয়েই আলোচনা। কোচ-কর্তাদের মনে নানা নাম ভাসলেও একটা বিষয়ে সবাই একমত যে, ভারতে খেলে যাওয়া বিদেশিকেই নেওয়া হবে। সেই সূত্রেই আলোচনায় এসেছে কয়েকটি নাম। আবার হারিয়েও গিয়েছে। এক্ষেত্রে লাল-হলুদ কোচ ও কর্তাদের প্রথম পছন্দ ছিল র্যান্টি। তাঁকে পেলে অন্য বিদেশিদের কথা ভাবা হত না। কিন্তু তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব নয় জানার পর ডাফি, উলফ, চিডিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চাইলেও যে টাকার কথা জানিয়েছেন ডাফি, তা দিতে রাজি নয় ইস্টবেঙ্গল। এর পাশাপাশি ক্লাবে অন্য আলোচনাও শুরু হয়। ব্যর্থ বলে ডাফিকে যখন মোহনবাগান ছেড়ে দিচ্ছে, তখন সেই ফুটবলারকে কেন নেওয়া হবে? আবার পারফরম্যান্স নেই বলে র্যান্টি, চিডিকে ছেড়েছে ইস্টবেঙ্গল । তাহলে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কেন? এমনকী প্লাজা, চার্লসকে যখন সই করানো হচ্ছে তখন অ্যান্টনি উলফকেও দেখা ছিল। সেই সময় যখন সই করানো হয়নি, তাহলে এখন কেন? এই সব প্রশ্ন উঠতে নতুন করে বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সূত্রেই ফিকরুর নাম চলে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মাথায়।
এটিকে-র হয়ে প্রথম আইএসএল খেলার সময় কলকাতায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ইথিওপিয়ার এই স্ট্রাইকার। গোলের পর তাঁর সামারসল্ট ও চুলে মজে ওঠে কলকাতা। জনপ্রিয় হলেও সেই সময় এটিকে কোচ হাবাসের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় দল ছাড়তে হয় তাঁকে। যদিও হাবাস দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এনেছিলেন ফিকরুকে। এই নামটিতে এসে ইস্টবেঙ্গলে কোচ থেকে কর্মকর্তারা একমত, পাওয়া গেলে ফিকরুতে হবে। এরপর যোগাযোগ শুরু করেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। জানা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাইল্যান্ডস পার্ক এফসি-তে খেললেও এখন তিনি ফ্রি ফুটবলার। বাকি গল্পটা ফিকরু নিজেই সংবাদ প্রতিদিন-কে ফোনে জানালেন। “এই মুহূর্তে ক্লাবের সন্ধানে মালয়েশিয়ায়। আছি। কোথাও পাকা কথা হয় নি। এর মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব পেলাম। সেটাও পাকা নয়। মালয়েশিয়ার ক্লাব ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে যার প্রস্তাব ভাল হবে, সেখানেই খেলব। আশা করি দিন দশেকের মধ্যে চুক্তি হয় যাবে।” ইস্টবেঙ্গলের সই করার সম্ভাবনা কতটা? ফিকরু বললেন, “কলকাতায় ফুটবল সমর্থকদের প্যাশন দেখেছি। সত্যি কথা বলতে কী মালয়েশিয়া এবং কলকাতার মধ্যে যদি দু’টি ক্লাবের সুযোগ সুবিধা একই হয়, তাহলে কলকাতায় যাব। কারণ কলকাতায় খেলার অভিজ্ঞতা যথেষ্ট ভাল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.