Advertisement
Advertisement
Mohun Bagan

‘মাঠের বাইরেও আমাদের সম্পর্ক ছিল নিবিড়’, বাবু মানির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অলোক-সত্যজিৎ

দীর্ঘদিন ধরে লিভারের অসুখে ভুগছিলেন বাবু মানি।

Former star footballer of Mohun Bagan Babu Mani passes away | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 20, 2022 9:34 am
  • Updated:November 20, 2022 9:35 am

স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা ময়দানে একসময় নজরকাড়া দক্ষিণী ফুটবলার বাবু মানি চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯। দীর্ঘদিন ধরে লিভারের অসুখে ভুগছিলেন। ভরতি ছিলেন বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭.২০-তে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক পুত্রকে। পড়াশোনার উদ্দেশে ছেলে থাকেন বিদেশে। তিনি এলে তবেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

মহামেডান ক্লাবে নাম লিখিয়ে তাঁর কলকাতা ফুটবলে আগমন। মূলত মইদুল ইসলামের হাত ধরে কেরল থেকে এসেছিলেন বাংলায়। সালটা ছিল ১৯৮২। তারপর মোহনবাগান (Mohun Bagan), ইস্টবেঙ্গল দুই প্রধানে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। মূলত রাইট উইংয়ে খেলতেন। কিন্তু বহু কোচ তাঁকে প্রয়োজনে ফরোয়ার্ডে খেলিয়েছেন। আসলে গোল করার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। ১৯৮৩ সালে মহামেডান দেশের অধিকাংশ ট্রফি পায়। তার পেছনে প্রধান অবদান ছিল বাবু মানির। ১৯৮৪-তে আসেন মোহনবাগানে। তখন দুরন্ত টিম সবুজ-মেরুন শিবিরের। অনেকে তখন বলেছিলেন, ভুল করলেন বাবু। এখানে হয়তো খেলার সুযোগ পাবে না। ঘটল ঠিক উলটো। প্রতি ম্যাচে শুধু খেলার সুযোগ পেতেন তাই নয়, নিয়মিত গোলও করতেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমাদের কাছে ভাল অস্ত্র প্রশিক্ষক আছে’, মদন মিত্রের মন্তব্যে বিতর্ক]

Advertisement

১৯৮৭ সালে অধিনায়কত্ব করেন মোহনবাগানে। দীর্ঘদিন খেলার পর ইস্টবেঙ্গলে চলে আসেন ১৯৯১। সেই সময় লাল-হলুদের কোচ ছিলেন নইমুদ্দিন। সেবার ইস্টবেঙ্গল ত্রিমুকুট জিতেছিল। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে অবসর নেন। ক্লাব স্তরের পাশাপাশি দেশের হয়ে বহু ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৮৫ সালের সাফ গেমসে সোনা পেয়েছিল ভারতীয় দল। বাবু মানি ছিলেন সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এশিয়ান গেমস, প্রি-অলিম্পিক, প্রাক বিশ্বকাপ সেই সময় জাতীয় দল বিদেশে গেলে বাবু মানির জায়গা ছিল নিশ্চিত।

স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুতে ময়দানে নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রাক্তন ফুটবলার তথা একই অফিসের সঙ্গী অলোক মুখোপাধ্যায় সতীর্থকে হারিয়ে শোকাহত। অলোক বলেই ফেললেন, “শুধু খেলার জন্য মাঠে নয়, তার বাইরেও আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল নিবিড়। একই অফিসে আমরা ৩৬ বছর চাকরি করেছি। আরও একটা বছর চাকরি ছিল। এই সময় চলে যাওয়া সত্যি দুঃখজনক। ১৯৮২ সালে এশিয়াডের ক্যাম্প হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। সেই সময় আমরা শুনেছিলাম বাবু মানির কথা। তারপর চলে আসে মহামেডানে। সেইদিন থেকে ঘনিষ্টতা শুরু। কিছুদিন আগে নরিন্দর থাপা চলে গেল। প্রিয়লালদা সম্প্রতি গেলেন। তারপর গেল বাবু মানি। ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ইস্যুর নিয়মে বড়সড় রদবদল, কী নির্দেশিকা মুখ্যসচিবের?]

সংবাদ প্রতিদিনের কাছ থেকে প্রথম মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ভেঙে পড়েন সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হিসেবে খ্যাত সত্যজিৎ বলছিলেন, “দীর্ঘদিন খেলেছি বলে নয়, দক্ষিণে খেলতে গেলেই বাবু মানি হয়ে যেত আমাদের অভিভাবক। কতদিন এমনও হয়েছে তার বাড়িতে আমরা থেকে যেতাম। তার পরিবারের সাথে একটা আলাদা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বাবু মানি না থাকলেও পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করত না। নেই শুনে বিশ্বাস করতে পারছি না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ