অভিষেক রক্ষিত: শহরে শীতের আমেজ। কিন্তু আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটা টের পাওয়ার সম্ভাবনা নেই শহরবাসীর। না, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কথা হাওয়া অফিস থেকে জানায়নি। আসলে বহুদিন পর যুবভারতীতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি। আর তাতেই শহরের হাওয়া গরম। চড়ছে উত্তেজনার পারদ।
[জন্মের পর জোড়া মাথা, অদ্ভুত বাছুর দর্শনে পাত্রসায়রে মেলা লোক]
সময় বলছে ডার্বি শুরুর বাঁশি বাজতে এখনও বাকি কিছু ঘণ্টা। অর্থাৎ যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাওয়া উচিত দুই প্রধানেই। আর শনিবার ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিসে ঢুঁ মারার পর দেখা গেল সেই চিত্র। এদিন যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে নিজের অস্ত্রশস্ত্রকে ঝালিয়ে নিলেন গতবারের আই লিগ জয়ী কোচ খালিদ জামিল। আর ইউরোপের ক্লাবগুলির মতোই প্রথম ২০-২৫ মিনিট পর অনুশীলনের ছবি তোলা থেকে শুরু করে মাঠের পাশে থাকতেই দেওয়া হল না সংবাদমাধ্যমকে। ম্যাচে প্রথম একাদশে কারা কারা থাকবে, কয়েকঘণ্টা আগে সেটা জানতে পারেন না খোদ কর্তারা। সেখানে আগেরদিন যে কোচ খালিদ দল নিয়ে কিছু বলবেন না তা বলাই বাহুল্য। আসলে নিজের তুরুপের তাসকে আড়াল করতে বেশ সিদ্ধহস্ত এই মুম্বইকর। তবে দূর থেকে যা আভাস পাওয়া গেল তাতে সিরিয়ান মিডফিল্ডার আল আমনা এবং প্রাক্তন মোহনবাগানী জাপানি ফুটবলার ইউসা কাটসুমির যুগলবন্দিই হতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচের তুরুপের তাস। অনুশীলনের পরও দেখা গেল দুই বিদেশিকে একসঙ্গে আইসবাথ নিতে। এদিন অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। আলাদা করে কথা বলেন কাটসুমি, উইলিস প্লাজার সঙ্গে। ত্রিনিদাদের তারকার পায়ের উল্কি নিয়েও প্রশ্ন করতে দেখা গেল নীতুকে। চাপ কাটাতেই লাল হলুদের শীর্ষকর্তার এটাই যেন পেপটক।
[৪ হোক বা ৪০, নারীশরীর কোনওভাবেই শুধু যৌনতার সামগ্রী নয়]
এদিকে, অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার এডুয়ার্ডো ফেরেইরা। বলেন, ‘আলাদা করে সোনিকে নিয়ে ভাবছি না। গোটা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আমাদের খেলতে হবে। তবে আগের ম্যাচের ভুল শুধরেই আমরা নামব।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, গত বছর মোহনবাগানে খেললেও কাটসুমি এবং তিনি নিজে ইস্টবেঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। এদিন অনুশীলনে দেখতে আসা সমর্থকদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে আলাদা উচ্ছ্বাস। তবে ডার্বি জয়ের থেকেও তাঁদের উদ্দেশ্য যেন মাঠ ভরিয়ে তোলা। নাম না করে তাঁরা একহাত নিলেন আইএসএল কর্তৃপক্ষকে। জানালেন, সবার উপরে আবেগ। রবিবারের ডার্বি দেখিয়ে দেবে আবেগকে কখনওই টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এখন দেখার সমর্থকদের আবেগে ভর করে জয়ের বৈতরণি পার করতে পারে কিনা ইস্টবেঙ্গল।