সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। সেটাই এবার সত্যি হল। বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে পারল না চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইটালি। ১৯৫৮-র পর যা ফের একবার লজ্জায় ফেলল আজুরিদের। বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে হলে সুইডেনের বিরুদ্ধে জিততেই হত বুঁফোদের।কিন্তু সোমবার রাতে সান সিরোয় প্লে অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ গোলশূন্য ভাবে ড্র হওয়ায় ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে যাওয়ার টিকিট পেয়ে গেল সুইডেন। কারণ প্রথম লেগে সুইডিশরা জয়লাভ করেছিল ১-০ গোলে। আর এর ফলেই ৬০ বছর পর ফের একবার আজুরিবিহীন বিশ্বকাপের সাক্ষী থাকবে ফুটবল বিশ্ব।
খেলা শেষ হতে তখন বাকি আর কয়েক মুহূর্ত। শেষ একটি কর্নার পেয়েছে ইটালি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রত্যেকে তখন একটি গোলের জন্য ফুটবল দেবতার কাছে প্রার্থনা করছে। আলেজান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি তো কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে বলটি বসানোর আগে চুমুও পর্যন্ত খেয়ে নিলেন। দরকার একটি গোলের, তাহলেই খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। না গোটা ম্যাচের মতোই ওই কর্নার থেকেও গোল পেল না ইটালি। আটকে দিল সুইডিশ রক্ষণ। আর সেই সঙ্গে ২০০৬ সালের পর ফের একবার মূলপর্বে চলে গেল সুইডেন। হারের হতাশা নিয়ে মাঠেই বসে পড়লেন আজুরিরা। ম্যাচের পর বুঁফো জানিয়ে দিলেন, এবার তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেবেন। পাশাপাশি মূলপর্বে না যেতে পারার জন্য চেয়ে নিলেন ক্ষমাও।
কিন্তু এমনটা কী হওয়ার কথা ছিল? যাঁরা বিশ্বখ্যাত কাত্তানেচ্চিও রক্ষণের জনক, তাঁদেরই কিনা আটকে দিল অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী একটি দলের রক্ষণ। শুনতে অবাক লাগলেও এদিন ম্যাচে ইটালির যাবতীয় আক্রমণের ঢেউ বারবার আছড়ে পড়লেও পার করতে পারেনি সুইডিশ রক্ষণের দেওয়াল। গোটা ম্যাচে বেশির ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইতালির কাছে। বেশ কয়েকবার সুইডেনের গোলপোস্টে তাঁরা আক্রমণ করে। কিন্তু গোলের দেখা কোনওভাবেই পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু বল সুইডেনের জালে জড়াতেই ব্যর্থ হন ইটালির খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধ থেকে দ্বিতীয়ার্ধ -একই ছবি গোটা ম্যাচের। একের পর এক আক্রমণ করলেও গোল আর হয়নি। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়ের কারণে পরের পর্বে চলে গেল সুইডেন।
২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত দু’বার গ্রুপ পর্বই পার করতে পারেনি ইটালি। আর এবার একেবারেই বাদ। এর আগে মাত্র দুবার বিশ্বকাপ খেলেনি ইতালি। একবার নিজেদের ইচ্ছায় অংশ নেয়নি তাঁরা। আর ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপে যেতে ব্যর্থ হয় তাঁরা। ঘটনাচক্রে ওই বিশ্বকাপেই সেরা সাফল্য পেয়েছিল সুইডেন। ফাইনালে পেলের ব্রাজিলের কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.