সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি থেকে আচমকা নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের ফুটবলার মজিদ খান। ২০ বছরের এই তরুণ লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। একমাত্র সন্তানকে ফেরানোর জন্য পুলিশের কাছে আর্তি জানান মজিদের মা। শেষ পর্যন্ত মজিদ ফিরে এল। পুলিশের কাছে সে আত্মসমর্পণ করেছে।
[কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে ‘রাফালে’ চুক্তির পক্ষেই সওয়াল বায়ুসেনা প্রধানের]
প্রাক্তন ওই ফুটবলারের থেকে অস্ত্র এবং বেশ কিছু বিস্ফোরক আটক করেছে পুলিশ। গত ১০ নভেম্বর অনন্তনাগে নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল মজিদ। এর পরের দিন থেকে উপত্যকায় হোয়াটসঅ্যাপে একটি ছবি ঘুরতে থাকে। দেখা যায় এক যুবক অত্যাধুনিক রাইফেল নিয়ে বসে আছে। ছবিটি যে মজিদের তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি পরিবারের। ওই যুবকের মা আয়েশা গৃহবধূ, বাবা ইরশাদ সরকারি চাকুরে। মেধাবী এবং প্রতিশ্রুতিবান এই ফুটবলার জঙ্গি দলে ভিড়ে যাওয়ার খবরে ইরশাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ছেলের চিন্তায় মা আয়েশা খাওয়া বন্ধ করে দেন। একমাত্র সন্তানকে ফেরোনার জন্য পুলিশের কাছে আরজি জানায় খান পরিবার। জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের প্রধান মুনির খান ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করে জানান মজিদকে ফিরে পেতে তারা সবরকম চেষ্টা চালাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মজিদের বন্ধুরা তাকে বাড়ি ফেরার জন্য আবেদন জানায়। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার রাতে অনন্তনাগের একটি থানায় নিজে ধরা দেন বিপথগামী ওই তরুণ।
[OMG! যৌন হেনস্তার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি পেন্টাগনের!]
পড়াশোনায় অত্যন্ত ভাল মজিদ। ফুটবলই তার ধ্যানজ্ঞান। এলাকায় নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে বেড়াত। এহেন এক যুবক কেন সন্ত্রাসবাদীদের দলে নাম লেখাল। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মজিদের বন্ধুরা বলছেন মাস পাঁচেক আগে একটি ঘটনা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। সেই সময় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে মজিদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মারা যায়। এর পর থেকে জেহাদের কথা সে বলতে থাকে। ফেসবুকে সে লেখে জেহাদ তার লক্ষ্য এবং আত্ম বলিদান দিতে চায়। বন্ধুদের বক্তব্য, বিষয়টি তেমন আমল না দেওয়ায় এমন পরিনতি হল।