Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান

‘আমার প্রাণের শহর কোথায়?’ কলকাতায় আমফানের তাণ্ডবে মর্মাহত সস্ত্রীক কিবু স্যর

শহরকে ছন্দে ফেরাতে তহবিল গড়ছেন ওঁরা।

Kibu Viccuna and his wife show solidarity to Kolkata over Amphan
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 24, 2020 9:26 am
  • Updated:May 24, 2020 9:38 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার আগেই বলেছিলেন, এই শহর তাঁর হৃদয়ে থাকবে। এই শহরের সমর্থকরাই শ্রেষ্ঠ। তা যে শুধু কথার কথা নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন মোহনবাগানের আইলিগ জয়ী কোচ কিবু ভিকুনা। তবে তিনি একা নন, কিবু স্যরের সহধর্মির্ণী পোল্যান্ডের বাসিন্দা কিয়াসা বেলও যে এই শহরকে আপন করে নিয়েছেন তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। আমফান পীড়িত তিলোত্তমার ছবি ওঁদের মনেও দাগ কেটে গিয়েছে। তাই বোধহয় সোস্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘Where is my City of Joy?

Advertisement

বুধবার কলকাতায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে আমফান। লন্ডভন্ড করে দিয়েছে চেনা শহরকে। কেড়েছে ১৯ জনের প্রাণ। কোথাও উপড়ে গিয়েছে সুপ্রাচীন গাছ। তো কোথাও ভেঙে পড়েছে বাড়ি। চেনা তিলোত্তমা তাঁর অতিচেনা ছন্দ হারিয়েছে। শহরের আনাচে কানাচে এখনও ছড়িয়ে তাণ্ডবের চিহ্ন। চেনা ময়দানের ধার ধরে হাঁটতে গেলে পদে পদে উপড়ে পড়া সবুজে ঠোকর খেতে হচ্ছে। এখনও আঁধারে ডুবে শহরের বিস্তীর্ণ অংশ। ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে রয়েছেন শহরবাসী। করোনা আবহে সুদূর স্পেনে ফিরেছিলেন কিবু ভিকুনা। সঙ্গে ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর পরিবার। মোহনবাগানিদের মনের মানুষ বেইতিয়া, ফ্রান গঞ্জালেস-সহ বাকি বিদেশিরা। শহর ছাড়ার পথে তুরসনভ। তবে এই তিলোত্তমা যে তাঁদের মনেরর মণিকোঠায় থেকে গিয়েছে আমফানের পরই তার হাতেগরম প্রমাণ মিলল।

Advertisement

[আরও পড়ুন : অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ১২০০ কিমি সাইকেল যাত্রা! বিস্ময়কন্যাকে ট্রায়ালে ডাকল ফেডারেশন]

ঝড় থামার কয়েকঘণ্টার মধ্যে টুইট করে সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন কিবু স্যর। একই পথে হেঁটেছিলেন বেইতিয়াও। তাঁরা এ শহরের ধ্বংসের ছবি যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। মানতে পারছেন না কলকাতা তার চেনা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। সোস্যাল মিডিয়ায় থাকা মোহনবাগানিদের রীতিমতো মেসেজ করে খোঁজ নিয়েছেন কিবু স্যর ও তাঁর স্ত্রী। ভিকুনার স্ত্রী কিয়াসা বেল তো সোস্যাল মিডিয়ায় আমফানের তাণ্ডবের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘প্রে ফর বেঙ্গল’। শহরকে সচল করতে তহবিল গঠনের চেষ্টা করছেন কিয়াসা। নিজে তো তহবিলে দান করেইছেন। চেনা পরিচিতদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, শহরকে পুনর্গঠন করতে অনুদান দিন। যা দেখে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা বলছেন, এই দলের প্রতিটা সদস্যর সঙ্গে এই শহরের নাড়ির টান তৈরি হয়ে যায়। যা কোনওদিন ছিঁন্ন করা সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন : আমফানের জেরে লন্ডভন্ড যুবভারতী, কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি স্টেডিয়ামের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ