Advertisement
Advertisement

তীরে এসে ডুবল নৌকো, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ডুরান্ড জয়ের স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের

ম্যাচ শেষে রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা।

Mohun Bagan lost to Gokulam FC in Durant Cup final
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 24, 2019 7:11 pm
  • Updated:August 24, 2019 8:23 pm

গোকুলাম এফসি: ২ (মার্কাস-২ একটি গোল পেনাল্টি থেকে)
মোহনবাগান: ১ (চামোরো)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজাতেই সাইডলাইনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গোকুলামের ফিজিও গার্সিয়া। এককালে যে দলের ফিজিক্যাল ট্রেনারের দায়িত্ব সামলেছিলেন, আজ সেই মোহনবাগানকেই হারিয়েছে তাঁর বর্তমান দল। মাটিতে শুয়ে পড়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন গোকুলামের গোলকিপার উবেইদ। নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে ট্রফি জিতে জয়ের আনন্দে ভেসেছেন হেনরি কিসেকাও। আর ম্যাচের নায়ক মার্কাস জোসেফ তখন উচ্ছ্বাসে আত্মহারা। প্রথমবার ডুরান্ড জয়ের স্বাদ পেয়েছে গোকুলাম। তাও আবার ১৬ বারের পোড়খাওয়া মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। এ আনন্দ যেন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শেহওয়াগের বিয়েতে বড় ভূমিকা ছিল জেটলির, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর প্রয়াণে ব্যথিত বীরু]

একদিকে কেরলের দলের ছবিটা যখন এরকম, অন্যদিকে তখন মুষড়ে পড়েছে ঘরের দল। গ্যালারিতে সবুজ-মেরুন জার্সি ধারী দর্শকদের মাথা হতাশায় নিমজ্জিত। যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। যেন এমনটা প্রত্যাশাই করেননি কেউ। ডাগআউটের ছবিটাও একইরকম। ফুটবলাররা যখন সত্যিটা মেনে নিতে পারছেন না, ঠিক তখনই রেফারিদের সঙ্গে সাইডলাইনে বচসায় জড়ালেন কোচ কিবু ভিকুনা। কেন ইনজুরি টাইমে প্রতিপক্ষের হাতে বল লাগা সত্ত্বেও পেনাল্টি দেওয়া হল না, এই নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। সেই সময় পেনাল্টি পেলে ম্যাচ নিঃসন্দেহে এক্সট্রা টাইমে গড়াত। কিন্তু বাস্তবটা অন্যরকম। বাস্তবটা বাগান সমর্থকদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। বাস্তবটা এটাই যে, ফাইনালে উঠেও ট্রফি অধরাই রয়ে গেল গঙ্গাপারের ক্লাবের। উলটে রেফারির সঙ্গে বচসার জেরে লাল কার্ড দেখেন ফ্রান মোরান্তে।

Advertisement

তবে গোকুলাম যে চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেই জিতেছে, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। প্রথম থেকে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন মার্কাসরা। যে ক্যারিবিয়ান তারকাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল, তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁকেই দলের স্তম্ভ বলা হচ্ছে। একটা গোল করেন পেনাল্টি থেকে আর দ্বিতীয়টা নাওচার বাড়ানো বল থেকে। এমন চাপের পরিস্থিতিতেও অবশ্য ছেড়ে কথা বলেননি বাগান ফুটবলাররা। ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোল করেন চামোরো। কিন্তু বেইতিয়া-সুহেররা যেভাবে সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন, তাতে আর যাই হোক, ফাইনাল জেতা যায় না।

[আরও পড়ুন: প্রকাশিত আইএসএলের ক্রীড়াসূচি, প্রথম ম্যাচেই নামছে এটিকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ