স্টাফ রিপোর্টার: কথায় বলে, শেষ ভাল যার সব ভাল। যদি তাই হয়, তা হলে বলতে হচ্ছে, গোয়ায় আবাসিক শিবির করে চূড়ান্ত সফল মোহনবাগান। আগেই দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভিকুনা বাহিনী। বৃহস্পতিবার ছিল শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ কালানগুটকে হাফ ডজন গোল দিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। বিরতির পর সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬-১।
[আরও পড়ুন: মরশুমের প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচে সালগাঁওকরকে চার গোল দিল মোহনবাগান]
তিনটে ম্যাচে মোহনবাগান দিল ১২ গোল। এটা একটা দৃষ্টান্ত বটেই। বিশেষ করে গোয়ার মাটিতে গোলের বান ডেকে ফিরে আসা সহজ কথা নয়। শুরু করেছিল সালগাঁওকর ম্যাচ দিয়ে। মাঝে খেলে সেসা গোয়ার সঙ্গে। সালগাঁওকরের সঙ্গে ব্যবধান ছিল ৪-২। সেসার সঙ্গে ছিল ২-০। আজ হল ৬-১। তাও আবার দুই বিদেশিকে পেয়েছে মোহনবাগান। চামোরা ও মোরান্তা অন্যান্য ম্যাচে একসঙ্গে খেলেননি। এদিন তাঁরা প্রায় ৬০ মিনিট একসঙ্গে খেলেন। মোহনবাগানের গোলদাতারা হলেন নরেন, চামোরা, সুরাবুদ্দিন, দীপ সাহা, ধনচন্দ্র ও ডেম্পো থেকে ট্রায়ালে আসা জয়েস।
মোহনবাগান খেলা শুরুর মিনিট দশেকের মধ্যে গোল পেয়ে যায়। নরেনের গোলে এগিয়ে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে গোয়ার প্রো লিগে খেলা দল কালানগুট অ্যাসোসিয়েশন। আগামিকাল মোহনবাগান কলকাতায় ফিরে আসছে। তবে, দল ১২ গোল পাওয়ায় স্বভাবতই কোচ ভিকুনা উচ্ছ্বসিত। স্প্যানিশ কোচ যদিও জানিয়ে দিলেন, “এখনই বলার মতো সময় কিছু আসেনি। গোয়ায় আবাসিক শিবিরে বুঝে নিলাম, কে কেমন কোন জায়গায় রয়েছে।”