সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমের প্রথম ডার্বিতে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে দুই প্রধান। দুর্দান্ত খেলেও জয় অধরাই থেকে গিয়েছে মোহনবাগানের। এমন পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে থাকতে প্রত্যেকটা ম্যাচে এখন জয়ই লক্ষ্য কিবু ভিকুনা ও কোংয়ের।
ময়দানে একটি বিষয় প্রচলিত রয়েছে। ডার্বির পরের ম্যাচেই পচা শামূকে পা কাটার প্রবণতা থাকে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। কিন্তু বড় ম্যাচের পরই বৃহস্পতিবার যে দলের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড, তাকে কোনওভাবে পচা শামূক বলা যাবে না। কারণ এই মুহূর্তে লিগে বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে ভবানীপুর। পাঁচ ম্যাচে ইতিমধ্যেই দশ পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে। বাগান কোচ কিবু ভিকুনার কথা শুনে মনে হচ্ছে ভবানীপুর সম্পর্কে তাঁর বেশ ভাল রকমই ধারণা রয়েছে। মঙ্গলবার প্র্যাকটিসের শেষে দলের বিদেশি বেইতিয়া বলে গেলেন, “অন্য কোনও টিম নিয়ে ভাবছি না। বাকি সব ম্যাচগুলোতে জিততে হবে। তারপর যা হয় দেখা যাবে।”
এদিকে আবার দশ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে গতবার ঘরোয়া লিগের রানার্স আপ পিয়ারলেস। ইস্টবেঙ্গলও বাগানের থেকে দু’পয়েন্টে এগিয়ে। বর্তমানে লিগের যা পরিস্থিতি তাতে এখনও ট্রফি জয়ের আশা রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানের। তবে আর পয়েন্ট খোয়ালে চলবে না।
মঙ্গলবার মোহনবাগান প্র্যাকটিসের শেষে সল্টলেকে ছোটখাটো একটা রিইউনিয়ন হয়ে গেল। রিকিকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন গুরজিন্দর-বিক্রমজিৎ। শেহনাজ সিং আবার এক বাগান কর্তার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে গেলেন। মোহনবাগানের পরই এটিকের প্র্যাকটিস ছিল। আর রিকি, শেহনাজরা প্রত্যেকেই একটা সময় মোহনবাগানে ছিলেন। তাই পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হতেই আড্ডা চলল। ফ্রান গঞ্জালেজ আবার খুঁজে পেয়ে গেলেন পুরনো কয়েকজন বন্ধুকে। ভবানীপুরের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ খোস মেজাজেই ছিল গোটা দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.