সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুন্দেশলিগার (Bundeshliga) হাত ধরে করোনা আবহে ইউরোপে ফিরেছে পেশাদার ফুটবল লিগ। শনিবার প্রথম ম্যাচে সবরকম বিধিনিষেধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ম্যাচ শেষ হয় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও শালকের। কিন্তু রবিবার তার উলটো চিত্র দেখা গেল জার্মান প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich) বনাম ইউনিয়ন বার্লিনের ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে হল গোলের সেলিব্রেশন। যা নতুন করে আতঙ্ক ধরিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। বায়ার্নের মতো ক্লাবের ফুটবলারদের থেকে এই মনোভাব আশা করেননি বুন্দেশলিগা কর্তারা। এই যদি সচেতনতার নিদর্শন হয়, তাহলে লিগ চালু রাখা নিয়ে ফের ভাবতে বসতে হবে উয়েফাকে (UEFA)।
রবিবার বায়ার্ন ও বার্লিনের ম্যাচে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন পোলিশ তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি (Robert Lewandowski)। শুরু হয় সেলিব্রেশন। কিন্তু তাও কিছুটা সচেতন ছিলেন ফুটবলাররা। ৮০ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরাসি বিশ্বজয়ী ফুটবলার বেঞ্জামিন পাভার্ড। ব্যস! গোল করেই সতীর্থ ডেভিড আলাবাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। যা টিভির দর্শকদের ভ্রু কপালে তুলেছে। চিন্তা বেড়েছে বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষেরও। জার্মান সরকার এই শর্তে বুন্দেশলিগা চালু করার অনুমতি দিয়েছিল যে, করোনা সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে প্রত্যেক দল ও বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষকে। ন্যূনতম ঝুঁকিও নেওয়া যাবে না। ম্যাচ করতে হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। ফুটবলারেরা ম্যাচের আগে কেউ কারও সঙ্গে হাত মেলাবেন না। গোলের পরে দূরত্ব বজায় রেখেই সেলিব্রেশন করবেন।
কিন্তু কোথায় কী? নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কাই করলেন না বায়ার্নের পাভার্ড। অন্যদিকে, শনিবারও একই ঘটনা ঘটে হফেনহাইম ও হার্থা বার্লিনের ম্যাচে। বার্লিনের দুই ফুটবলার একে অপরকে চুম্বন করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ঘটনায় উদ্বিগ্ন নন দলের ম্যানেজার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দূরত্ব বজায় রেখে গোলের সেলিব্রেশন করতে অসুবিধা কোথায়? এইভাবে চলতে থাকলে তো ফের লিগের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.